May 3, 2024, 5:27 pm
শিরোনামঃ

নির্বাচন, গনতন্ত্র, মানবাধিকার, সেন্ট মার্টিন, নৌ ঘাটি, উন্নয়ন, মানবাধিকার, খনিজ অনুসন্ধান

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Friday, June 23, 2023
  • 559 Time View

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত পাকিস্তানের মিত্র হিসেবে পাকিস্তানের গনতন্ত্র বিনাশে করলেও অর্থনৈতিক ঋণে জর্জরিত করে রেখেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক ডিভিশন সেনার যাবতীয় খরচ বহন করতো, খাদ্যে ভর্তুকি দিতো। সেই সংগে ইন্ডিয়া ও ভারত উপমহাদেশের দেশগুলোর উপর নজরদারিতে অনুগত পদ লেহী পাকিস্তানের আইএসআই, রাজনীতিক, বুরোক্রাট, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ইন্ট্যালিজেন্জকে ব্যাবহর করতো, এই কাজে তারা বিশেষ প্রশিক্ষনও দিতো। মূল উদ্দেশ্য ভারতকে খন্ডটি করা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান,  ভারতের ও বার্মার খনিজ সম্পদের উপর কব্জা করা। এর জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন  ডলার পাকিস্তানের পিছনে খরচ করেছে এমনকি কাশ্মীর সমস্যাকে সামনে রেখে এত ব্যায় এত কাজ করার পরও যুক্তরাষ্ট্র কাঙ্খিত ফল পায় নাই, অবশেষে ৬৫ সনে আয়ূব খানকে দিয়ে ভার পাকিস্তান যুদ্ধ লাগিয়ে দিলো। এসকাপের নামে থাইল্যান্ডে উইএন বাহিনীর নামে মার্কিন ও ইহুদী সৈনিক ও কুটনৈতিক অফিসও আছে। পাকিস্তানের খমতায় আয়ূব খানের আবির্ভাবের পরে ৬৫ সনে কাশ্মীর যুদ্ধের মূল হোতাও ছিলো মার্কিনিরা। মার্কিনিরা সারা বিশ্বে সবসময় একাধিক চ্যানেল ম্যানটেন করে, তারা সরকারী দল, বিরোধী দল, সামরিক ও ব্যুরোক্রাটিক সহ উর্তি রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক ও এজেন্ট ম্যান্টেন করে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম যে বিদেশী লোক প্রধান মন্ত্রী তাজউদ্দীন সাহেবের সাথে দেখা করেন তিনিও একজন মার্কিন ব্যাংকার, তাজউদ্দীন সাহেবকে তিনি স্বাধীন দেশের মূদ্রা ছাপানোর বিষয় আলোচনা করলে তিনি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে না আশা পর্যন্ত মুদ্রানীতি ও মুদ্রা ছাপানোর কোনো আলোচনা করতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। কি ভাবে তিনি এত দ্রুত ঢাকায় আসলেন জিজ্ঞেস করলে বলেছিলেন তিনি স্বরনার্থীদের গাড়ীতে করে এসেছেন।

সিআইএ পাকিস্তানের রাজধানী করাচীতে ও ঢাকায় তাঁদের মিশন চালাতো, তারা শাহবাগ হোটেলের উত্তর পাশে নবাব এস্টেটের একটা জমি ৯৯ বছরের লিজ নিয়ে ওখানে বহুতল ভবন, সিআইএর সাউথ এশিয়ান আঞ্চলিক অফিস করতে চেয়ে ছিলো, আয়ূব খান মূল ভূখন্ডে এরকম অফিস করার ব্যাপারে রাজি না হওয়ায় তার করুন পরিনতি ঘটিয়ে ইয়াহিয়া খানকে দিয়া পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতিকদের সহ আওয়ামী লীগ ও সায়ত্তশাসনের  সকল প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে ২ পাকিস্তান ২ ভাগ করার জন্য পাকবাহিনী ও পঃ পাকিস্তানের রাজনৈতিক উস্কানীমূলক সকল ব্যাবস্থা সম্পন্ন করে শেষ পর্যন্ত ১৯৭১ সনে মুক্তি যুদ্ধ লাগিয়ে ভারতকে ঘায়েল করার ব্যার্থ অপচেষ্টা চালায়। এখন ঐ জায়গা সরকার অধিগ্রহন করে পিজি হাস্পাতাল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ব বিদ্যালয়কে দিয়েছে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দরীদ্র দেশে রিলিফ দেয়ার নামে, ঋণ দেয়ার নামে মূল ভূখন্ড থেকে আলাদ সেন্ট মার্টিন লীজ নেয়ারও চেষ্টা করেছে বঙ্গবন্ধু তাতে রাজি না হয়ে সমাজতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করলে ব্যার্থতায় ক্ষুব্ধ হয়ে পিএল ৪৮০ র ২টি খাদ্য জাহাজ গভীর সমুদ্র থেকে ফেরত নিয় কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে স্ববান্ধবে  হত্যা করিয়ে হত্যাকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় পুনর্বাসনে ব্যাবস্থাও করে ছিলো। লিবিয়ায় গাদ্দাফি ও আদনান খাশোগির অর্থানুকুল্যে তারা লিবিয়া সহ বিভিন্ন দেশে পরবর্তীতে স্থায়ী পুনর্বাসিত হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়া তাদের রক্ষায় ইনডেমনিটি বিল পাস করে চাকুরী ও ব্যাবসার সুযোগও করে দেয়। অতঃপর জিয়ার পতন ও সন্ত্রাসবাদের নামে লিবিয়া ও গাদ্দাফির পতন, ইরাককে দিয়ে প্রথমে ইরান আক্রমণ পরে কুয়েত আক্রমণ, সৌদিকে দিয়ে ইয়েমেনে আক্রমণ, মিশরের ২ জন জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হত্যা করার মূল হোতা ও ইহুদী  মার্কিন সরযন্ত্র। সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের তেল গ্যাস লুট করা, মুসলিম দেশ সমূহে ঘাটি স্থাপন ও ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ লাগিয়ে ডিভাইড এন্ড সাকিং করে গোপনে ইসরায়েলকে অস্ত্র, অর্থ দিয়ে, ডিভাইড এন্ড সাকিং পদ্ধতিতে মুসলিম বিশ্বকে পৃথিবীর দুর্বল ও মুখাপেক্ষী জাতিতে পরিনত করার কোনো প্রচেষ্টা তারা বাদ দেয়নি এ কাজে তাদের দোশর বৃটিশ ফরাসি ও তাদের উপনিবেশ, ডমিনিকান দঃ আমেরিকা ও আফ্রিকার কিছু দেশ সহ আমেরিকার সামরিক ঘাটিগুলোকে ব্যাবহার করে পরিচালিত  সারা বিশ্বে অসান্তির মহা যঞ্জ্য সৃষ্টি করে যাচ্ছে। তারই একটি এখন চলছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা যেনো তাদের নতুন অর্থনৈতিক ডমিনিকান উপনিবেশিক রাষ্ট্র। একটু পিছনের দিকে তাকালে দেকা যাবে ২ টি মহাযুদ্ধে চুটিয়ে অস্ত্র, পোশাক, লিবারিজ বিক্রি আর অস্ত্র বিক্রি করে শেষ মুহুর্তে মারণাস্ত্র ও পারমাণবিক বোমা মের মানবতার ধংশ করে মোরাল বনে গেছে। এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, শেসপর্যন্ত ইউক্রেন মারনাস্ত্র পরীক্ষা নিরীক্ষার ল্যাবরেটরী।

একটু লক্ষ করলে দেখা যায় যে পৃথিবীর কোন দেশই তার মূল ভূখন্ডে কোনো বিদেশি সন্য ঘাটি করতে দেয় না, তাই অপসর আয়ল্যান্ড গুলোই ঘাটি করার উপযুক্ত ও আন ইন্টারাপটেড ডমিনিকান বলে গন্য করা হয়। বাংলাদেশ এশিয়া পেসিফিকের শুবিধা জনক স্থানে অবস্থীত হওয়ায় ভৌগোলিক, রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ তদুপরি ভবিষ্যতে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও বার্মার উপকুল ও উপত্যকায় সার্বিক নিয়ন্ত্রণ,  তেল, গ্যাস, পার্বাত্য এলাকায় খনিজ সম্পদ, মৎস সম্পদের সম্ভাবনা, প্রকৃতিক সৌন্দর্য, সমুদ্রের অববাহিকায় ব্লাকগোল্ড, গোল্ড, ইউরেনিয়াম সহ বিভিন্ন মেটালিক উপাদান আছে বলে ভূতাত্ত্বিকরা মনে করেন। অর্থনৈতিক বানিজ্যিক, রাজনৈতিক দিক দিয়ে সমস্ত এশিয়া পেসিফিক নিয়ন্ত্রণ হাব হিসেবে মার্কিনীদের কাছে এ অঞ্চল নতুন সম্ভাবনার নব দীগন্ত।

যারা বলেন সেন্টমার্টিন ঘাটি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয় তারা হয় মার্কিন এজেন্ট না হয় অনভিজ্ঞ। যদি গুরুত্বপূর্ণ নাই হবে তা হলে সেই আয়ূব খানের আমল থেকে কেনো তাঁরা এত বছর ধরে বাংলাদেশের পিছনে লেগে আছে? অনেকে হয়তো যানে না যে বার্মা ইসরায়েলের কাছথেকে কৌশলগত উন্নত সামরিক ও ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম ক্রয় করে। বার্মা আদি কাল থেকে পাইরেটস বা জলদস্যুর অনৈতিক শাসনের একটি সামরিক দেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির সম্প্রসারন হচ্ছে, দরীদ্র দেশ থেকে পরিকল্পিত উন্নত অর্থনীতির দিকে অগ্রসরমান দেশ, তাই এখানে শুধু ঘাটি না রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণও প্রতিষ্টা করা তাদের এবং তাঁদের প্রভু বৃটিশদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। অতিসম্প্রতি ভূ-উপগ্রহ, মহাশূন্যে উপগ্রহ, পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র, অপটিক ফাইবার সহ উন্নত দেশের সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান।

বাংলাদেশ এখন এশিয়া আফ্রিকার আঞ্চলিক জোটের সদস্য হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এমন কোনো জোটে যাবে না যেখানে ভারত রাশিয়া থাকবে না। শুধু মাত্র মার্কিন কুট চালে, ন্যাম, সার্ক, ওআইসি, ওপেক তার কাঙ্খিত ভূমিকা রাখতে পারছে না। যারা ৭১ এ সপ্তম নৌবহর, ৭৪ এ পিএলের ৪৮০ র গম গভীর সমূদ্রথেকে ফিরিয়ে নিয়ে পাকিস্তানে দেয়া, ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্য কারিগর, ৯৫ সনে তালেবানদের অস্ত্র আন্দামান থেকে কিনে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের বাহির নোঙ্গরে খালাস করা, বিএনপির সময় ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা কোনোটিই মার্কিন ও পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সহযোগিতা ছাড়া হয় নাই।

বাংলাদেশ সান্তি প্রিয় জোট নিরপেক্ষ দেশ, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি যুদ্ধ, ৩০ লক্ষ সহিদের রক্ত ও ২ লক্ষাধীক মা বোনের ইজ্জত সম্ভ্রমের বিনিময় স্বাধীন হয়েছে।   ভারত রাশিয়ার ঐকান্তিক সহযোগিতায় মাত্র ৯ মাসে স্বাধীনতা অর্জন। বাংলাদেশ আপন শক্তি আপন পরিশ্রমে বিশ্ব মানচিত্রে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধারাবাহিক উন্নয়ন অগ্রগতির ফলে আজ আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিষ্ঠিত। সাবেক পাকিস্তান পন্থী ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আজ এত উন্নয়ন এত অগ্রগতি সহ্য করতে পারছে না তাই দেশী বিদেশী চক্রান্তে লিপ্ত দল ও জোটের চক্ষু শুল। যখন হাজারো সরযন্ত্রে কাজ হচ্ছে না তখন বিদেশী প্রভুদের মাধ্যমে নানামুখী চাপ, মিথ্য বানোয়াট অপপ্রচার, নেত্রীকে হত্যার হুমকি, দেশের ভূখণ্ড বিদেশের কাছে লিজ বিক্রি করে হলেও ক্ষমতায় বসে ওরা আবার লুটপাট, ধর্ষন, অগ্নি সংযোগ, মানুষ হত্যাকারীরা জাতীয় সম্পদ  বিনষ্ট করে হলেও আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। এদেশের স্বাধীনতাপ্রিয় মুক্তি যোদ্ধারা ও জনগণ আবার একত্রিত হয়ে সকল সরযন্ত্র নষ্যাৎ করে বাংলা মায়ের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখবে। জয় হোক মানবতার জননী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।।

লেখকঃ রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আঃ রহমান শাহ্।

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102