দেশ আছে, রাজনীতি থাকবে।মতবাদের মাধ্যমে আপন ঠিকানা খুজতে হবে।ইতিহাস ঐতিহ্য কে অস্বীকার করে হবে না।

ডিসেম্বরে মনের আকুতি, হৃদয়ের অনুভূতি, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আমরা লেখবো, বলবো যে কটাদিন বেচে আছি। আমাদের বলাকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিয়ে বিতর্কে।পাকিস্তানি ভাবধারা এখনো পরিবর্তন হয় নাই।৯মাসের বীরত্বগাথা বিজয় ৩০ লক্ষ শহিদের রক্ত, দেশের বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্নদান, ২ লক্ষ ৭৪ হাজার মা-বোনের সম্ভমহানীর বিনিময়ের এই বাংলাদেশে রাজনৈতিক হিংস্রতা ডিসেম্বরে। আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।

জীবনের গল্পগুলো ডিসেম্বর নির্ভর। আমরা যারা শিশু মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে মিসে আছি। না বলা কথা নিয়ে স্কুল কলেজ ও নতুন প্রজম্মের কাছে বঙ্গবন্ধু, শহিদ বুদ্ধিজীবী, বীরাঙ্গনা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে যুদ্ধের গল্পে মেতে আছি। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নির্মমতার ইতিহাসের থেকে আমাদের খালেদা জিয়াও বাদ পরেন নাই।

কথাগুলো বলতে হবে, জানতে হবে, জানাতে হবে বাঙালি জাতিকে।স্বাধীনতার ৫১ বছর পরে, পাকিস্তান প্রেমের প্রতিদান থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে অস্বীকার ? তবে কী মেজর জানজুয়া মুক্ত হতে পারলাম না ? বাঙালি জাতি আপনাকে ভুলে হউক আর বিদেশী ষড়যন্ত্রে হউক প্রধান মন্ত্রীর আসন দিয়েছিলো। ডিসেম্বর আপনার মুক্তির দিন, নাকি জানজুয়া হারানোর দিন হিসেবে গ্রহন করেছেন ? জাতির কাছে স্পষ্ট নয়। ডিসেম্বরে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা থেকে অনেক প্রশ্ন উদয় হয়। খালেদা জিয়ার জন্মদিন, জিয়ার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী তকমা, হা-না ভোটের ক্ষমতা। তারেকের লন্ডন অবস্থান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে অবজ্ঞা, শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের ঘোষণা, বাঙালি জাতি কাছে হাস্যকর। রাজনৈতিক কথা বলা সহজ, বাস্তবায়ন কঠিন। বাঙালি জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য ২৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ৭০ নির্বচনে জনপ্রতিনিধি হতে হয়েছে। বিএনপি সকাল বিকাল সরকার পতনের ঘোষণা, বাস্তবায়ন করতে না পারার জন্য হাস্যকরে পরিনত হচ্ছে।জাতিকে বিভ্রান্ত কারা, নেতা কর্মীদের হয়রানী, সঠিক রাজনীতির প্রজ্ঞা হতে পারে না।

ক্ষমতা থাকলে, জনগণ সহায়তা করলে পল্টনে সমাবেশ, সরকার পতনের এক দফা বাস্তবায়ন করে দেখান। না হয় আত্নসমর্পণ করে পুর্বাঞ্চলের বানিজ্য মেলার মাঠে সমাবেশ করে বাড়ী ফিরে যান। ডিসেম্বর পাকিস্তানীদের পরাজয়ের মাস। আপনাদের বিজয় সম্ভব হবে ন। মুক্তির বানীর এই ডিসেম্বর, বাঙালি জাতি গর্জে উঠলে খবর নিয়া ছারবো,শেখ হাসিনার মহাসমাবেশ সেই কথাই বলে।

লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।