May 19, 2024, 2:13 pm
শিরোনামঃ
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মৎস্যজীবী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা বিচার ব্যবস্তার সুচনার ইতিহাস জানিনা, বিতর্কের শেষ কোথায় ? বুঝতে পারছি না বঙ্গ কণ্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলার মাটি কে বুকে ধারন, ইতিহাসের অংশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পাঠাগারের কমিটি গঠন জহির সভাপতি ও লিটন সাধারণ সম্পাদক গাজায় নিজেদের গোলার আঘাতে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত তালের শাঁস খেলে যেসব উপকার হয় ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না: ওবায়দুল কাদের বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বাংলাদেশ সফর করছি: ডোনাল্ড লু ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমানের রাজনীতি হয়,মহাত্মা গান্ধী সকল ধর্মের রাজনীতি নাই গুলিস্তান-মিরপুরের কাপড় পাকিস্তানের বলে বিক্রি করেন তনি!

গরুর মাংস ৫৮০-৬০০ টাকা, ৬৫০ টাকা মুল্য নির্ধারণ করলো কে? : রবিউল আলম

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Tuesday, December 26, 2023
  • 69 Time View

সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না, ভোক্তা অধিকার মুল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে পারছে না।৬৫০ টাকা সর্ত যুক্ত একমাসের জন্য মাংসের মুল্য নির্ধারণ করলো কে এবং কীভাবে ? বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম জনগণের সিন্ডিকেটে ব্যবসায়ীরা অসহায়,মুল্য নির্ধারন মানছে না।বেশী দামে মাংস জনসাধারণ কিনবে না, মাংস ব্যবসায়ীরাও বেশী দামে বিক্রি করবে না। কে কতদাম কমিয়ে মাংস বিক্রি করতে পারে,প্রতিযোগীতা চলছে। দোকানে কাস্টমারের লাইন। বেশী বিক্রিতে বেশী লাভ। কম বিক্রিতে লাভ বেশী করার আশায়, অনেক ব্যবসায়ী পুঁজি হারাচ্ছে। ৩০ মন মাংস বিক্রিতে ১০ টাকা কেজিতে লাভ করেও পোষায়। ১০০ টাকা কেজিতে লাভ করতে চাইলে ১০ কেজির বেশী মাংস বিক্রি করতে পারছে না। কর্মচারীর বেতন, দোকানের ভাড়া দিয়ে ওরা টিকে থাকতে পারবে না। তার উপর ভোক্তাদের সিন্ডিকেট চলছে। একশ টাকা গাড়িভাড়া দিয়ে পঞ্চাশ টাকা কমে মাংস কিনার প্রতিযোগীতা চলছে।
জনগণের সিন্ডিকেট ভাঙবেন কীভাবে ? রক্তচোষাদের সিন্ডিকেট এইবার বিফল। ভোক্তা অধিকার বুঁজে না বুঁজে, গরুর ফার্মের মালিকদের সিন্ডিকেটের অংশ হয়ে পরেছিলো। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির প্রস্তাব ছিলো মাংসের মুল্য নির্ধারণ না করে ৬০০ টাকার উপরে বিক্রির নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হউক।গরুর ফার্মের মালিকরা আমাদের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তাদের ব্যবসায়ী স্বার্থ রক্ষার জন্য, কিছু কুচক্রী মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য বিরাট খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করেন সিন্ডিকেট পাকাপোক্ত করার জন্য। ফার্মে থাকা গরুগুলো বেশী দামে বিক্রি করার জন্য মাংসের দাম বাড়ানোর ছলচাতুরী অংশ ফার্মার এসোসিয়েশন। ভোক্তা অধিকারের সহায়তায়, মিডিয়ার মাধ্যমে ৬৫০ টাকা মাংসের মুল্য নির্ধারণ করেন, জনস্বার্থ উপেক্ষা করে। একরাতে ৬০০ টাকার মাংস ৬৫০ টাকার সাইনবোর্ড উঠানো হলো। এই বৈধতা ও অধিকার তাদের আছে কি-না ? আমার জানা নাই। মিডিয়া জবাবদিহিতায় আনছে না। প্রকৃত সিন্ডিকেটের অনুসন্ধান এই দেশের সর্বসাধারণ ও সরকারের এজেন্সি করেছে। অনুসন্ধানের কোনো রেকর্ড পাওয়া যাচ্ছে না।
মাংসের দাম বাড়লে লাভবানদের অনুসন্ধান হয় নাই। একজন ফার্মের মালিক ৪/৫ হাজার গরু মহিষ লালনপালন করে, মাংসের দাম কমে যাওয়াতে কোরবানী দাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে পারবেন না। যেকারণে মাংসের দাম বাড়ানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হয়েছে। গরুর দাম কমলে, বাজার থেকে অতিরিক্ত গরু কিনে স্টক করে রাখেন।দাম যাতে কিছুতেই কমতে না পারে।পিয়াজ আলু ডিমের দামের জন্য মাংসের মতো ভোক্তাদের সিন্ডিকেট চাই। হটাৎ দাম বাড়ানো পণ্য কিনা বন্ধ করে দিতে হবে। খাদ্যের বিকল্প আছে, পঁচনশীল পণ্যের সিন্ডিকেট টিকে থাকতে পারবে না,জনগণের সিন্ডিকেট এর জয় হউক। গরুর ফার্মের মালিকরা কতো গরু স্টক করবে ? করুক না। মাংস ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর সুযোগ না দিলে, ভোক্তা অধিকার ও মিডিয়ার সহায়তা না পেলে, জনগণের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারবেন না।জনগণ সকল শক্তির উৎস।
ভোক্তা অধিকারের সভাতে বলেছিলাম, গরুর হাটের অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করুন, সিটি করপোরেশনের গরুর হাটের ইজারার সর্ত, শিডিউল বাস্তবায়ন করুণ। প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়কে পশুপালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে পরামর্শ প্রদান করুন, বাংলাদেশে মাংস বিক্রি হবে ৪০০ টাকা কেজি। পশুর মাংস, হাড়, শিং, নাড়ীভুঁড়ি, পেনিস গোল্লা চামড়া, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে বৈদিক মুদ্রার রিজার্ভ পুরণ করবো আমরা।
একমাস পার হওয়ার পরেও মাংসের মুল্য নির্ধারণি সভার কোনো পর্যালোচনা সভা হয় নাই। ভোক্তাদের সেবায় ও নিজেদের ব্যবসায়ী স্বার্থ বিবেচনা করে মাংস ব্যবসায়ীরাও বসে নেই। ৬৫০ টাকার সাইনবোর্ড ইতিমধ্যে নামানো শুরু হয়ে গেছে। ভোক্তা অধিকার কী করবেন,জানিনা।গরুর ফার্মের মালিক এসোসিয়েশনের ঘোষিত মাংসের মুল্য তালিকা এখন মুল্যহীন। সকল সিন্ডিকেটের বড় সিন্ডিকেট দেশের জনগণের সিন্ডিকেট। বাস্তবায়নের জন্য ঐক্য চাই। ভোক্তা অধিকার চুপ থাকলে, কোনো সিন্ডিকেট জনগণের লুটেরা হতে পারবে না।

লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102