সৃষ্টির সুন্দয্য নারীকে বাদ দিয়ে হবে না, এই পৃথিবীর ভোগ উপভোগ্য ও সম্মানের আসনটি দখল করে আছে নারী।নারীকে বাদ দিয়ে সৃষ্টিকে আবিস্কার করা সম্ভব নয়। তালেবান কোনগুহার প্রানি ? কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তালেবান ভিসি ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী,কর্মচারী কোনো নারী থাকতে পারে না, নারী ক্রিকেটার ও সংস্কৃতি বিনোদন হবে না, চলচ্চিত্র, নাটকের কি হবে ? বহিঃবিশ্বের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন কীভাবে এগিয়ে নেওয়া হবে ? কোনো প্রশ্নে এখনো কোনো সঠিক উত্তর তালেবান সরকার দিতে পারছেন না। পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী ইমরান খান এক সময় নারী ছাড়া চলতে পারতেন না বলেই তালেবানকে কিছু উপদেশ দিয়েছেন। বহিঃবিশ্বের তালেবানের বন্ধুরা নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেও তালেবান কেনো নারীবিদ্বেষী ? তাদের ভয়ে ইতিমধ্যে সকল নারী বিচারক, নারী শিক্ষিকা, নারী ক্রিকেটার ফুটবলার, চিত্র নায়ীকা, গায়ীকা আত্মগোপনে। তবে কি তালেবান যুদ্ধা ও সরকারের মন্ত্রীদের বাচ্চাদান বিরত থাকবে ? নারাবিদ্বেষী তালেবানদের ঘরের নারীরা কোথায় আত্নগোপনে থাকবে ? তালেবান নারীরা কি মধ্য যোগের নির্যাতনে সঙ্গ দিচ্ছে ? না-কি নারী শক্তি ঐক্যের পরিকল্পনা করছে ? আফগান নারীরা একযোগে তালেবান সঙ্গ ত্যাগ করার ? যদি তাই হয়, তবে আফগানিস্তানে আর তালেবান জর্ন্মাবে না। বহিঃবিশ্বের সাথে সম্পর্কের প্রয়োজন হবে না। তালেবান শাসনে নারীর অধিকার বাচ্চাদান, সেই দানের পরবর্তী দান হচ্ছে তালেবান। সিদ্ধান্ত নিতে হবে আফগান নারীদের,মা হবে ? না মেয়ে, তালেবানের সঙ্গ দিয়ে আরো তালেবান সৃষ্টি করবেন নিজেদের অধিকার হরনের ? সিদ্ধান্ত আপনাদের। বহিঃবিশ্বের নারী অধিকার রক্ষার দায়িত্ব যারা নিয়েছেন, বিশ্বশান্তির প্রতিক জাতিসংঘ ও বহিঃবিশ্বের রাষ্ট্র প্রধানদের তালেবান নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। খাদ্যভাবে, নিরাপত্তার অভাবে একটি জাতিগোষ্ঠীর যবনিকা হতে দিতে পারি না। গুহারপ্রানি তালেবান সভ্য সমাজের বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলুন, না-হয় তাদের স্থানে পৌচিয়ে দিন।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।