মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানার ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অতিদ্রুত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এমনটি ধরে নিয়েই নেতাকর্মীরা তৎপর হয়ে উঠেছে। ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কারা আসছেন তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা ইতিমধ্যে চায়ের কাপে ঝড় উঠেছে। কে হচ্ছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক? এই প্রশ্নের উত্তরের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। এ দিকে সমর্থন পেতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন পদ প্রত্যাশীরা। ফলে সম্মেলনকে ঘিরে নতুন করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে কেউ কেউ আলোচনায় থাকলেও আদর্শিক নেতৃত্ব হিসেবে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন, ৩৩ নং ওয়ার্ড বাসীর অহংকার, জামাত-বিএনপির পেট্রোল বোমা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাজপথের প্রতিবাদী সৈনিক, গরীব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু, চার দলীয় জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথের লড়াকু সৈনিক, সৎ স্বচ্ছ রাজনীতির প্রতীক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আনুগত্যের নির্ভিক নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, দানশীল ব্যাক্তি ও সাবেক সফল ছাত্রনেতা শেখ অলিলুর রহমান।
স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিজেকে একজন জনপ্রিয় কর্মী বান্ধব ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শেখ অলিলুর রহমান বর্তমানে মোহাম্মদপুর থানার ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে।
শেখ অলিলুর রহমান পেশায় একজন ব্যবসায়ী হলেও মানুষের সেবায় তার দূর্বলতা রয়েছে। তিনি ১৯৯৪ সালে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করছেন। তিনি জানান, আমি ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ৪৬ (বর্তমান ৩৩) নং ওয়ার্ড যুবলীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম।হাওয়া ভবন ঘেরাও কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছিলাম।
২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার সময় প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে জয় বাংলা শ্লোগানে সামনে এগুচ্ছিলেন। হঠাৎ করে গ্রেনেডের শব্দে মুহুর্তের মধ্যে স্তব্দ হয়ে যায় চারপাশ। দৌড়ে পল্টনের সামনে গিয়ে দেখেন কেউ আহত হয়ে রাস্তায় পরে আছে কেউ পানির জন্য আহাজারি করছে, কারো শরীরের এক একটি অঙ্গ এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সামনে পা বাড়াতেই চিৎকার দিয়ে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করলো। যার হাত ধরে রাজনৈতিক জীবন শুরু। সেই রাজনীতির আস্থাভাজন শেখ বজলুর রহমান (বর্তমানে যিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি)। সাথে সাথে তাকে নিয়ে হাসপাতালে দিকে রওয়ানা হলাম। পথের মধ্যে কতো যে বাঁধা কি এক অমানবিক সময় পার হচ্ছিলো। মনে হলো আহত রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো রাষ্ট্র। মনে হলো তাহলে কি বঙ্গবন্ধুর বংশ কে এখানেই নিঃশেষ করে দিবে? আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে স্বপ্ন দেখি সোনার বাংলা গড়তে তাদের বাঁচার অধিকারটুকু আমরা হারিয়ে ফেলেছি? এমন হৃদয়বিদারুক হাজারো কল্পনা নিয়ে শেখ বজলুর রহমান চাচাকে নিয়ে হাসপাতালে রেখে আবারও ছুটলাম রোগীদের বাঁচাতে। আস্তে আস্তে সেই দূর্দিন পরে আওয়ামী লীগের সুসময় আসলো। দল ক্ষমতায় এলো অনেক ত্যাগী নেতা কর্মী আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে।
হঠাৎ সারা বিশ্ব সহ বাংলাদেশে যখন করোনার প্রাদুর্ভাব। তখন সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও জন-সচেতনা মূলক নানান রকম উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন। সরকারের এই ঊদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে উপর মহল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইউনিটের নেতা কর্মীরা সামাজিক সচেতনতায় এগিয়ে এসেছিলেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মোহাম্মদপুর থানার ৩৩ নং ওয়ার্ড এই এলাকায় শ্রমজীবি মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই এলাকাটা অন্যান্য এলাকার চেয়ে একটু ঘনবসতি ও জনসচেতনা কম প্রায়। তাদের দৈনিক মাইকিং করে জনসচেতনতা বাড়ানো, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানেটাইজার সহ সেফ থাকার জন্য নানান রকম সামগ্রী বিতরন করেন শেখ অলিলুর রহমান।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনের কারণে এই ওয়ার্ডের কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো জানান, রাতের আঁধারে শেখ অলিলুর রহমান আমাদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ অলিলুর রহমান এর কোনো বিকল্প নাই, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেবার মতো জনবল, পারিবারিক ঐতিহ্য, সামাজিক পরিচিতি, আর্থিক স্বচ্ছলতা, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা, আদর্শিক-পরীক্ষিত নেতৃত্ব, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ ও গ্রহণ যোগ্যতা ইত্যাদি যেসব গুণের প্রয়োজন তার সবগুলো শেখ অলিলুর রহমান এর মধ্যে বিদ্যামান রয়েছে।