ভয় পাচ্ছি, আওয়ামী লীগে লুকিয়ে থাকা চাটুকারদের। যারা আনসারুল্লাহ, জসিমউদদীন রহমানিয়া কিংবা জামায়াত-বিএনপি সঙ্গে আঁতাত করে। কিছু কাউন্সিলর চেয়ারম্যান ভোটের জন্য আপোসের রাজনীতি করে। ওরা জানে না, মানে না ওই ভোট আমাদের হতে পারে না। অবিশ^াসীকে বিশ্বাস করা যায় না, তবু আমাদের দেখতে হচ্ছে তৃণমূলের আলোচনায় জঙ্গিদের মুখ। ভোট যদি আপোসে আসতো, কঠিন রাজনীতির প্রয়োজন হতো না, ৭ বছর আত্মগোপনে ও জেলখানায় থাকতে হতো না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে হারাতে হতো না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর ২১ বার জীবননাশের হামলা হতো না। ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট শোক দিবস পালন করতে হতো না। জন-জীবন রক্ষার জন্য রাস্তা পাহাড়া দিতে হতো না।
প্রতিটা ওয়ার্ড, ইউনিট থানার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যানদেরকে আলাদা করা হয়েছে। কারা করেছে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না। তৃণমূলে চাঁদাবাজ মাদককারবারী সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নয়তো? ত্যাগি নেতাদের কাছে অর্থ না থাকায় জনবল ও গায়ে শক্তি নেই। মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরের মতো গর্জে উঠতে পারবে না, তাই বলে কি তাদের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব কেউ নিবে না?
ক্ষমতা ভোগের অংশ নয়, ভাগ করলে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ঢুকবে গুজব ছড়াতে, নেতৃত্বের জন্য মিথ্যা অপবাদ নিয়ে হাজির হবে, হচ্ছে। ওরা রাজপথে পরাজিত, ঘরে ঘরে বিবাদ সৃষ্টি করবে। আমার ৩৪ নং ওয়ার্ড থেকে শুরু করা হলো কাউন্সিলর ও বস্তা ভড়া নেতার সহায়তায়। কিছু কাউন্সিলর রাস্তায় ঘুরতো, আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য চাঁদা তুলে নির্বাচন করেছি, এখন উপদেশ শুনতে হয়। বক্তব্য দেওয়ার সুযোগের কথা। হয় কমিটি দিন, না হয় মুক্তি দিন, এই অসহনীয় যন্ত্রণার রাজনীতি করতে চাই না। আগস্টের শোক আছে বুকে, কলম আছে হাতে, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার নৌকার মাঝি আলহাজ্ব মো. সাদেক খান এমপি যতদিন বেঁচে আছেন, কারও সাধ্য নেই আমার কাছ থেকে নৌকা কেড়ে নিতে পারে। দায়িত্বে থাকা পদ-পদবির জন্য দলে ভিতরে দল, ঘরের ভিতরে ঘর আর সইতে পারছি না। ২০২৪ সালে নির্বাচন, অর্থলোভীদের নষ্টামিতে রাজনীতি চলে না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।