মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ‘সরকার জঙ্গি-খুনিদের অবাধে সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের খুন করতে সুযোগ দিয়েছে’ বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, ‘জঘন্য অপরাধীদের মদদ যারা দিচ্ছে ,তাদের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবেই।’
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই বিবৃতিটি দেওয়া হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল’ করে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট শুরু করেছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জীবনের শান্তি ও স্বস্তি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশছোঁয়া।
সেদিকে নজর না দিয়ে, আওয়ামী লীগ নিধনে নেমেছে সরকার। এ ছাড়া আসন্ন দুর্গাপূজার মূর্তি ভাঙচুর করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছে। থানা লুটপাটকারী ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরা হচ্ছে না, গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে না। জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও খুনিদের অবাধে সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের খুন করতে একরকম// সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এই জঘন্য অপরাধীদের মদদ যারা দিচ্ছে, তাদের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবেই।
নানক বলেন, সারা দেশে এক অকল্পনীয় দুঃশাসন চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ওপর বিএনপি ও তাদের মিত্রদের অত্যাচার নির্যাতনের পাশাপাশি এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার। ১৫ বছরের কিশোর থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো নেতা–কর্মী রেহাই পাচ্ছে না গ্রেপ্তার থেকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের গলা কেটে হত্যা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের খুন, বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করছে বিএনপি ও তার মিত্ররা।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হচ্ছে না। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’