কিছু টাউট বাটপার দেশটাকে একটা কেক বানিয়ে ছুরি কাটা চামচ দিয়ে ভাগ করে খেতে চায়।আমাদের দেশে প্রবাসীরা সব চেয়ে বড় সংখ্যা লঘু, এমনকি বার্মায় রহিঙ্গারা যতটা নির্যাতিত বা আদিবাসী সংখ্যা লঘুরা সাম্প্রদায়ীকতার কাছে যতটা অসহায় তার চেয়েও বেশী। প্রবসীরা বিদেশ বিভূঁইয়ে হার ভাঙ্গা পরিশ্রম করে, মাথার ঘাম পায় ফেলে অর্থ উপার্যন করে বাপ, মা, ভাই বোন, আত্মীয় সজনের মূখে হাশি ফুটাতে চান, সবাইকে ভাল বাসতে, ভালো রাখতে চান, নিজের দেশ নিজের জন্মস্থান, জন্মভূমির মঙ্গল করতে চান, সবাইকে নিয়ে সুন্দর সমাজ গঠন করতে চান। কিন্তু দীর্ঘ প্রবাস জীবনের শেষে গ্রামে গেলে দেখা যায় তার পৈতৃক সম্পদ অন্যের দখলে, প্রবাসীর স্ত্রী যদি গ্রামের বাড়ি থাকেন তবে সবার ভাবী হয়ে যান, আবার নিজ গৃহে নিজ স্বামীর বাড়িতে নির্যাতিত হন এমন হাজারো ঘটনার উদহারন দেয়া যাবে। বাধ্য হয়ে গোপনে অনেকে বিক্রি করে দেন প্রভাবশালীদের কাছে। কিন্তু সবাইত আর তা পারে না, মানুষের একটা নারীর টান থাকে। এসব কাহীনি নিজ শৈশবের সৃতি গুলোর সাথে কোনো ভাবেই মিলাতে পারিনা। আমরা যারা লেখা পড়া করে শহরে বা বিদেশে কর্মসংস্থানে যাই তারা কি কোনো অন্যায় করেছি? বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে কোনো উত্তর পাইনা, শুধুই মনে হয় আমরা এখন আর মানুষ নাই সবই অমানুষ হয়ে গেছি, যে সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য এত ত্যাগ, এত কষ্ট করলাম তা এখন মাফিয়া মাদকের, ভূমি দশ্যু, খুনী আসামী, সন্ত্রাসীর দখলে তা হলে পুরো দেশটাই কি ওরা গিলে খাবে। এমনি সমস্যার কথা প্রায় সকল প্রবাসীর কাছেই শুনছি। ২ দিন পূর্বে একজন আত্মীয় খবর দিলো ভান্ডারিয়া থানার লক্ষীপুরা গ্রামের আমার জমির গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে আমারই ছোট চাচাত ভাই অন্যরা বাধা দিলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালা গালি করে। অথচ বাড়ির জায়গা জমি মাপজোপ করে শালিসি বসিয়ে সার্ভেয়ার দিয়ে ভাগ বন্ঠন করে সীমানা দেওয়া আছে, তদুপরি সীমানা পিলার তুলে কিছু দিন পর পর একটু একটু করে দখল করে নতুন বেড়া নতুন গাছ লাগায়। আবার যে যখন সুযোগ পায় তখনি হয় রাতে চুরি করে না হয় দিনে জবর দখল করে, এমনকি রাস্তার পাসে কবর দিয়াও দখল করে। আমি বুঝি না সব মানুষকেই ত একদিন সকল সম্পদের মায়া ছেড়ে মাটির নিচে যেতে হবে সে দিনত কিছুই সাথে যাবে না। আবার অনেকে মাদক খায়, মাদকের ব্যাবসা করে, বিষয়টি আমাকে ভীষন ভাবিয় তোলে, পিরা দেয়, অনেক সময় প্রশাসনের সহায়তা পাওয়া যায় আবার অনেক সময় পাওয়া যায় না। নিজের গ্রাম, নিজের জন্মস্থান, নিজের আত্মীয়রা সকল সুবিধা নেয়ার পরও কেমন যেন অচেনা হয়ে যায় অমানুষ হয়ে যায়, টাউট বাটপারে দেশ ভরে গেছে।
এমন অবস্থায় ভদ্রলোকেরা জাতীয় উন্নয়নে জাতীয় রাজনীতিতে কাজ করবে না চিচকে চোর মাদকসেবি তারাবে। তাই বিজ্ঞ জনেরা বলেন আপন জন যখন পর হয় তখন সে হয় মারাত্মক খতিকর হিংশ্র পশুর চেয়েও খতিকর। এমনি এক পশুর ছবি নিচে দিলাম।
লেখকঃ রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আঃ রহমান শাহ