মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ- আলফাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে যেসব মানুষের ভাবনার পরিধি ব্যাপক তাদের প্রত্যেকের প্রতি নিগূঢ় শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে। সেই তালিকার অন্যতম একজন মানুষ অ্যাডভোকেট শেখ জামাল হোসেন মুন্না।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভার কুসুমদি গ্রামে ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন শেষ করেই আইন পেশায় যোগ দেন। পেশাগত কাজে থাকতে হয় রাজধানীতে। তবে শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রিয় জন্মভূমি নিয়ে তার বিস্তার ভাবনা আমাকে ব্যাপক মুগ্ধ করে। আর মুগ্ধ হওয়ার কারণ-ও আছে বেশ।
বছর ঘুরে যখন ঈদের আনন্দ আসে তখন তিনি আনন্দটা শুধুমাত্র নিজের পরিবারের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখেন না। বরং অসহায় ও দরিদ্র মানুষগুলোকে খুশি করেই ঈদ উদযাপন করেন। মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যখন দিনমজুর মানুষগুলো লকডাউনে গৃহবন্দী ছিলেন তখন তাদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে পাশে থেকেছেন। শুধু তাই নয়, তীব্র শীতে হতদরিদ্র মানুষগুলোর কথা মনে করে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
‘যুবসমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে খেলাধুলার বিকল্প নেই’ এই উক্তিটি বাস্তবায়নের লক্ষে যুবসমাজকে মাঠমুখী করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। কখনো ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, কখনো বা টুর্নামেন্টের আয়োজনে উৎসাহিত করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের হাতকে শক্তিশালী করতে নিজেকে সক্রিয় রেখেছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। তাইতো রাজধানীর মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার কারণে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ কমিটিতে সহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন।
নিজ এলাকাতে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষেও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। দরিদ্র, মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ বহনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। সংঘবদ্ধ হয়ে এলাকায় অসহায় ও দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ‘আলফাডাঙ্গা উপজেলা গ্রাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সংগঠন যাত্রা শুরু করেছে।
গুণী সম্পূর্ণ এই মানুুষটির আজ ৪০-তম জন্মদিন। জন্মদিনে শুভ কামনা ও দোয়া রইলো অবিরাম.