মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ রোজার প্রথম দিনেই রাজধানীর বিভিন্ন বাজার, অলিগলি, অভিজাত হোটেল-রেস্তোরাঁয় জমে উঠেছে ইফতার বাজার। গত দুই বছর করোনার কারণে সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় ভ্রাম্যমাণ দোকান খুব একটা বসেনি। এ বছর সে সীমাবদ্ধতা না থাকায় সব জায়গায় ইফতারির বেচা-কেনা ঘিরে তৈরি হয়েছে অন্যরকম আমেজ।
আজ ৩ এপ্রিল ২০২২ রোজ রোববার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নিয়মিত হোটেল-রেস্তোরাঁর পাশাপাশি বসেছে অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ দোকানও। সেসব দোকানে ছোলা, বুট, মুড়ি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ডিম চপ, দই বড়া, ডাবলির ঘুঘনি, মিষ্টি, শাহী হালিম, গরু-মুরগি-খাসির হালিম, কাবাব, সবজি পাকোড়া, মাংসের চপের পাশাপাশি অনেকে তাদের নিজস্ব বিশেষ আয়োজন নিয়ে বসেছেন। যার মধ্যে রয়েছে রেশমি জিলাপি, বোম্বে জিলাপি, রেশমি কাবাব, গ্রিল চিকেন, বুন্দিয়া, গরুর কালো ভুনা, কাচ্চি, মগজ ভুনা, চিংড়ি বল, পরোটা, লুচি, চিকেন তান্দুরি, চিকেন বটি কবাব, দই চিড়া। রয়েছে পেস্তা বাদাম শরবত, বেলের শরবত, তরমুজের শরবতসহ অসংখ্য পানীয়র আয়োজন।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঐতিহ্যবাহী নানা রকমারী ইফতারের সমাহার নিয়ে রাজধানী মোহাম্মদপুর জান্নাত হোটেলে জমজমাট ইফতার বাজার বসিয়েছে।মানসম্মত বিভিন্ন ধরণের ইফতারের পসরা সাজিয়ে রোজাদারদের আকৃষ্ট করছেন। দুপুর থেকেই এসব খাবার সাজাতে শুরু করেন জান্নাত হোটেলের বিক্রেতারা।
মোহাম্মদপুরের মধ্যে পাওয়া ইফতারির গুণে-মানে-দামে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। ইফতার নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ নেই তাদের। ক্রেতারা জানান জান্নাত হোটেলের ইফতার সামগ্রী সতেজ এবং মান সম্পন্ন।
ক্রেতাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টার কথা জানিয়েছেন জান্নাত হোটেলের মালিক মোঃ লুৎফর রহমান (বাবুল)।