রবিউল আলম
নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে নায়করা হতাশায়, তিনট্রাম ক্ষমতায় ভাগ্যের পরিবর্তন হয় নাই।তিনশ বছর ক্ষমতায় থাকলেও তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। মজিব আদর্শ নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের রাজনীতি করে না। বিদায় নিয়েছেন,জিল্লুর রহমান, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, এডভোকেট সাহারা খাতুন, মেয়র হানিফ সহ অনেকেই। মতিয়া চৌধুরী, মায়া চৌধুরী, শেখ বজলুর রহমান, আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি সহ অনেকেই আছেন। মোহাম্মদপুর থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার গণ স্বাক্ষর সংগ্রহের ইতিহাস সহজ ছিলো না। প্রতিদিন সংসদ ভবনে অস্থায়ী কারাগারে অবস্থান, দিনের পর দিন মিছিল মিটিং, আদালতে নিজের জন্য মিথ্যে মামলায় হাজিরা।নিদারুণ অসহায় দিনগুলোকে মনে করিয়ে দেয়। নেত্রীমুক্তির এই দিনটি না আসলে জীবনের অনেক কিছুই ভুলে থাকতে পারতাম। অনেক অখাদ্য কুখাদ্য নেতাদের চরিত্র দেখার সুভাগ্য, দুর্ভাগ্য হতো না। আজকে অনেকের বিনয়ী হয়েছেন। এমপি মন্ত্রী, কাউন্সিলর হয়েছেন। এক একারোর নিবেদিত নেতা কর্মীদেরকে অত্যাচার, অবহেলা করতে দেখি। এই গুনি জনদের আসল রূপ আবার কখন দেখবো এবং দেখাবেন ? সেই অপেক্ষায় থাকলে, পশ্চিমারা আবারও ১৫/২১ আগষ্ট সৃষ্টি করতে চাইবে। দলের মাঝে গাপটি মেরে থাকা নব্য খন্দকার মোস্তাকরা আছে পশ্চিমাদের তাবেদারি করার জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দেশ ও জাতির অধিকার পশ্চিমাদের কাছে বন্ধকী সম্পর্তীতে পরিনত না করার জন্য, রক্ত চক্ষু দেখতে হচ্ছে। দেশ জাতির উন্নয়নে চীন, ভারত, রাশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করায়, পদ্মাসেতু থেকে বিশ্ব ব্যাংকে বিতাড়িত করে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণ ছিলো বিশ্বের বিস্ময়। ছোট্ট একটা দেশ পদ্মানদী পার হয়ে বিশ্বকে ছুতে চায়। বিশ্বের শিল্প কারখানা এখন বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা থাকলে আরো কত কি দেখতে হবে, রক্তচক্ষু সুলের কারণ এখানেই । তাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এ দেশীয় এজেন্টরা। জনগণের ভাবনার বিষয় কে তারা উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্র করতে পারছে না। জনগণ উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত মেনে নিবেন না। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে আর মির্জাফরের তালিকায় পশ্চিমারা নিতে পারছেন না। ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব একক নেতৃত্ব হারিয়েছেন আমেরিকা। ইউরোপ এখন নিজেদেরকে রক্ষায় ব্যস্ত। নেত্রীমুক্তি আন্দোলন বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবিস্কার করেছে। তেমনি বিশ্ব রাজনীতির হাওয়া পরিবর্তন হয়েছে এবং হচ্ছে। পশ্চিমারা তুড়ি দিয়ে বিশ্ব চালাতে ও পরিবর্তন করতে পারবেন না। পরিবর্তনের জন্য জনগণের মতামত গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি জামাতের পশ্চিমাদের কলা দেখা ছাড়া আর কোনো পথ আবিস্কার করতে পারেন নাই। পশ্চিমাদের কলার চাইতে জনগণের পায়ের ধুলো অনেক মিষ্টি, এ কথা কতবার বলতে ও লিখতে হবে ? সময় এখনো ১৭ মাস আছে। শেখ হাসিনার কারামুক্ত দিবশে আপনাদের জন্য এর চেয়ে ভালো উপদেশ হতে পারে না। উপহার হিসেবে গ্রহন করলে, দেশ জাতি ও আপনাদের রাজনীতি উপকৃত হবে। না হয় ঠনঠনাঠন।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।