আওয়ামীলীগ এমনি একটা রাজনৈতিক দল ও দলের নেতা কর্মী, এই পৃথিবীর বিচিত্র প্রানি বলতে পারেন। দিলে খায়, না দিলে পেটে তালা লাগায়। নিতে জানেনা, চাইতে পারে না। অমুক ভাই, তমুক ভাই বলতে পারে না। শুধু বসে অপেক্ষায় থাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের। চোখের সামনে মুক্তিযোদ্ধা ও আঃলীগারদের অসহায়ত্ব দেখে চোখে সয় না, মনে মানেনা দল ক্ষমতায় থাকলে অভিমানের শেষ নাই। দল ক্ষমতা হারালে ঘরে থাকার অভ্যাস নাই। শেখ হাসিনার সহ সবাই অবগত, প্রতিদিন সভা সমাবেশে হাইব্রিড মুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, অথচ অনেক হাইব্রিড চেয়ারম্যান মেম্বার কাউন্সিলর হয়ে বসে আছেন। আঃলীগারা তাদের মেনে নিতে পারেন না, তোষামোদ করতে জানেন না বলেই হাইব্রিড আর আঃলীগার এক হতে পারেন না। আঃলীগে খন্দকার মোশতাকদের ছায়া হটানো যাবে না। এই হাইব্রিডদের যারা স্থান করে দিয়েছেন, তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক কাছের মানুষ, ইচ্ছে করলেই আঃলীগ এবং ক্ষমতাশালীরা হাইব্রিড মুক্ত হতে পারেন না। আঃলীগারদের ঘরে নিয়ে যেমন কেউ খাওয়াতে পারবেন না, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও বানাতে পারবেন। আসলে তারা রাজনীতিকে মানব সেবার উর্দ্দে আর কিছুই ভাবতেই পারেন না,মজিব আদর্শ বুকে ধারন করেছেন বলে। মোহাম্মদপুর থানার পেছনে কিছু মুক্তিযোদ্ধা থাকেন, সেই ছোট থেকে দেখছি,আঃলীগের জন্য জীবন যৌবন সবি হারিয়েছে। জীবনের শেষ সময় আশ্রস্থলও হারাতে বসেছেন। উন্নয়নের নামে। সারাজীবন আঃলীগের ব্যানার ফেস্টুন টেনে নাজির এখন ভিক্ষা করে, মসু সহ অনেকে রিক্সা চালাচ্ছে। একটু শান্তি অনুভব করে, পুলিশে হয়রানী করে না। ক্ষমতার অর্জন এর থেকে বেশী কিছু না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়তো জানেন না, হাইব্রিড মুক্ত করার দায়ীত্ব আপনি যাদের হাতে অর্পণ করেছেন, তারা অনেকেই হাইব্রিড ছাড়া চলতে পারেন না বলেই আমাকে লেখতে হয়েছিলো ঘরের ভিতরে ঘর। হাইব্রিড নিয়ে আমি এখন আর ভাবি না, হাইব্রিড এখন আঃলীগের বন্দীশালায়,পারলে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আমার ভাবনার বিষয় এই আঃলীগারদের নিয়ে। শোকের মাসে কাঁদে, শেখ হাসিনার উন্নয়নে হাসে। নিজের জন্য ঠনঠনানি, অভিমান নিয়েই বেচে আছে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।