খাস খবর বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ দেশের মাটিতে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সাকিব আল হাসান তা পূরণ হচ্ছে না। মধ্যপ্রাচ্যের শহর দুবাইয়ে আসার পর সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হলো এই তারকা ক্রিকেটারকে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে দেশে ফিরতে মানা করা হয় সাকিবকে। ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে’ সাকিবকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন খোদ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
এর আগে সাকিব দেশে ফিরবেন নাকি ফিরবেন না, বিষয়টা নিয়ে গত বুধবার রাত থেকেই ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর সাকিব স্পোর্টস বাংলাকে জানিয়েছিলেন, তিনি দেশে ফিরছেন না। এবার তিনি জানান, দুবাই থেকে যেখানেই হোক, দেশে আর ফিরছেন না।
সাকিব দেশের মাটিতে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা খেলার ইচ্ছা গেল মাসে কানপুর টেস্টের ঠিক আগে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তার দেশে ফেরা নিয়ে নানা জলঘোলা হয়েছে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দলেও ছিলেন। কিন্তু সেইসব নাটকের পর জানা গেল স্বপ্নপূরণ হচ্ছে না সাকিবের।
আজ ১৭ অক্টোবর ২০২৪ রোজ বৃহস্পতিবার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, তিনিই সাকিবকে দেশে না আসার পরামর্শ দিয়েছেন। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি নিজেও চেয়েছি, সাকিব আল হাসানের মতো একজন ক্রিকেটার দেশের মাটিতে অবসর নিক। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, প্রথম দিকেই বলেছি সাকিব আল হাসানের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে জনমনে ক্ষোভ রয়েছে যা স্বাভাবিক। রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করাসহ জনমনের ক্ষোভ নিরসনে তিনি ফেসবুক পোস্ট দিলেও সাম্প্রতিক প্রতিবাদে প্রতীয়মান হয়েছে যে তা যথেষ্ট ছিল না। যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরও তা করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সাউথ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যকার সিরিজে কোনপ্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই আপাতত দেশে খেলতে আসার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে বিসিবিকে পরামর্শ দিতে হয়েছে।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার আশু ব্যবস্থা হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে সকলেরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত বলে মনে করি। কোন অভিযোগ থাকলে আইনি প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিয়েই তার সমাধান খোঁজা যেতে পারে।’
সাকিবের এই পরিস্থিতির কারণ তার রাজনৈতিক পরিচয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। এরপর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়।
তার আগে থেকেই সাকিব ছিলেন দেশের বাইরে। সরকার পতন ও মামলা দায়েরের পর থেকে সাকিব আর দেশে ফেরেননি।