এই আজব কথার সাথে কোনোদিন একমত হতে পারি নাই। সমস্যার জন্য রাজনৈতিক প্রভাবের প্রয়োজন হয়, প্রশাসন চায় তথ্য। সমাধানের জন্য অর্থ সঙ্কট অজুহাত হতে পারে। স্থানিয় সরকারের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার নাগরিক সমস্যা সৃষ্টি লক্ষ্যে ময়লা নিয়ে মরা গরুর মতো টানাটানি চলছে।মেয়র’রা চাইছেন সিটির রাজস্ব আয়, কিছু কাউন্সিলর চাইছেন নিজের পকেট ভারী করতে, ময়লা পরিছন্ন কর্মীরা চাইছেন টেন্ডারের মাধ্যমে অতিরিক্ত চাঁদাবাজির অনুমতি নিতে।
ইতিমধ্যে আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে ময়লা। নাগরিকরা কী চায় ? শুনার জন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা আছে কি-না ? মেয়র মহোদয়’রা ভালো বলতে পারবেন। নগর পরিছন্ন রাখার জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারিত, প্রয়োজন হলে বারাতে পারেন। সোজা পথে না গিয়ে, ময়লার জন্য আলাদা টেন্ডার জনজীবনে কতটা অশান্তির কারণ হতে পারে ? বিবেচনায় রাখা হয় নাই। টেন্ডার গ্রহিতার লাঠিয়াল বাহিনী সামলানোর আইনগত সুযোগটাও থাকবে না।
কবরস্থান, হাট-বাজার, বাস-ট্রাক টার্মিনালের ইজারার শর্ত বাস্তবায়নের কোনো নজির স্থাপন করতে পারেন নাই। অতিরিক্ত আদায়কারীরা ছিলো মাঠে ময়দানে। ময়লার জন্য চাঁদাবাজির লাইসেন্স দিলে, ঘরের ভিতরে ঢুকে পরবে। জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলবে, প্রতিরোধ করার কোনো ক্ষমতা থাকবে না, থাকবে না নাগরিক অধিকার। নাগরিক সেবার জন্য সিটি কর্পোরেশন, সমস্যা সৃষ্টির জন্য নয়। প্রতিটি ঘরের দর্জায় ময়লার জন্য চাঁদাবাজির লাইসেন্স দেওয়া হলে, সামলাতে পারবেন না।
রাজনীতিকে অর্থবহ করতে চাইলে চাঁদাবাজির রিসিট ঘরে ঘরে পাঠাবেন না। রাজনৈতিক অঙ্গিকার আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, মজিব আদর্শের।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।