December 22, 2024, 1:10 am
শিরোনামঃ
সরকার যেভাবে নির্বাচনের তারিখ দিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়: ১২ দলীয় জোট গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে আজ সভায় বসছেন উপাচার্যরা, আলোচনায় দুই এজেন্ডা দেশে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, চাঁদাবাজ পরিবর্তন হয়েছে: হাসনাত আবদুল্লাহ গাইবান্ধায় সাঘাটা উপজেলায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আহত ৪০ ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটির দপ্তর সম্পাদকের উপর হামলা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনী রোডম্যাপ সন্দেহজনক: রুহুল কবির রিজভী উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ মারা গেছেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি প্রমাণের ওপেন চ্যালেঞ্জঃ হাসনাত আবদুল্লাহ ঢাকার কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাতদলের মধ্যে তিন ডাকাতের আত্মসমর্পণ, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

সবার জন্য উন্মুক্ত হলো ক্যাশ সার্ভার!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Wednesday, December 4, 2024
  • 24 Time View

নাঈমুর রহমান জাদুঃ  স্থানীয় পর্যায়ে আইএসপিদের কাছ থেকে ক্যাশ সার্ভার উঠিয়ে নেয়ার আদেশ বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে এখন থেকে আইআইজি’দের পাশাপাশি গাইডলাইন ও লাইসেন্স নীতিমালা মেনে সকল মোবাইল অপারেটর, আইএসপি এবং নিক্স পর্যায়ে সার্ভার স্থাপনে কোনো বাধা থাকলো না।

ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে সোমবার কমিশনের উপপরিচালক এস এম গোলাম সারোয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ থেকে জানাগেছে, ক্যাশ সার্ভার স্থাপনের আগে অপারেটরদের সর্ভার প্রদানকারী ও সরবরাহকারী সংস্থার সাথে সম্পাদিত চুক্তিপত্র, সংখ্যা, ব্র্যান্ড, মডেল নম্বর ও ক্যাপাসিটি; অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ সহ স্থাপনের ঠিকানা এবং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সম্মতি ও অনুমোদন সংক্রান্ত ই-মেইল কপি জমা দিতে হবে।

একইসঙ্গে ক্যাশ সার্ভার আমদানির জন্য আগেই বিটিআরসি থেকে অনাপত্তি পত্র সংগ্রহ করতে হবে। স্থাপনের পর সার্ভারের আইপি ঠিকানা, এএসন এবং ডাটা ইনফরমেশন সিস্টেম (ডিআইএস) সংশ্লিষ তথ্য কমিশনে দাখিল করতে হবে। সার্ভার প্রতিস্থাপন, স্থানান্তর ও আপগ্রেডেশনের ক্ষেত্রে পূবানুমতি লাগবে।

এই সিদ্ধান্ত-কে স্বাগত জানিয়েছেন আইআইজিএবি সভাপত আমিনুল হাকিমসহ খাত সংশ্লিষ্টরা। এবিষয়ে বিটিআরসি’র সাবেক পরিচালক, টেলিকম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক লেখক ও একটি ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেছেন, বিটিআরসিকে ধন্যবাদ। একটা অসাধারণ কাজ হয়েছে। তবে প্রতিবার এই যন্ত্র বাংলাদেশে আনার ব্যাপারে কয়েকটি সরকারি এজেন্সিতে আবেদন এবং সেই কাগজের অনাপত্তি সহ বিভিন্ন জায়গায় ডকুমেন্ট প্রসেসে যে সময় নষ্ট হয় সেটা অনেকটাই অপ্রয়োজনীয়।

এ ব্যাপারে গ্লোবাল পার্সপেক্টিভ এ “টাইপ এপ্রুভাল” বলে একটা পদ্ধতি আছে। একই জিনিসপত্র যখন কয়েকটি সংস্থা আমদানি করবে, তখন সেটার জন্য আলাদা আলাদাভাবে অনাপত্তিপত্র দরকার নেই। সরকারি যেকোনো এজেন্সিতে এ ধরনের যন্ত্রপাতি আমদানির ব্যাপারে একটা জায়গায় (সিঙ্গেল উইন্ডো) পদ্ধতিতে ডকুমেন্ট প্রসেস হলে সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্যান্য এজেন্সিতে ইনপুট হিসেবে যাবে। দিনশেষে সরকারের জানা দরকার কতগুলো যন্ত্র, কবে, কখন, কোথায় ইনস্টল হয়েছে, তার জন্য প্রয়োজনীয় কর প্রদান করা হয়েছে কিনা এবং তার বর্তমান অবস্থা। সেটার শুরুর ড্যাশবোর্ড (কাস্টমসে থাকা শ্রেয়) থাকলেই এত কাগজপত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না। কাস্টমসের ডাটাসেট থেকে প্রয়োজনীয় উপাত্ত পেয়ে যাবে বিটিআরসির নিজস্ব ডাটাবেজ’- যোগ করেন তিনি।

অপরদিকে আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেছেন, এই পরিপত্রের বলে দেশের ইন্টারনেট সেবা ডিসেন্ট্রালাইজড হবে। দেশের ১৮ কোটি জনগণ আবারো রিয়েল টাইম ইন্টারনেটের স্বাদ পাবে। বিষয়টি এই খাতের বৈষম্য দূর করতেও সহায়ক বলে মন্তব্য করেছেন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

গুগল, ফেসবুক কিংবা ইউটিউবের মতো সাইটগুলোর প্রধান সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত সহযোগী নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশে বৈধভাবে এক হাজার ৬২২টি ক্যাশ সর্ভার রয়েছে। ২০২২ সালের আগে আইএসপি ন্যাশনওয়াইড’দের কাছে ফেইসবুকের ৩৭৮টি, গুগলের ২১৯টি; আইএসপি সেন্ট্রাল জোনগুলোর কাছে ৮৩টি (এর মধ্যে ফেইসবুকের ৪৩টি এবং গুগলের ৪০টি); আইএসপি জোনালে ৭০টি (এর মধ্যে ফেইসবুকের ৩২টি এবং গুগলের ৩৮টি); আইএসপি ক্যাটাগরি ‍এ-তে ৬৫টি (গুগলের ২২, ফেইসবুকের ৪৩) এবং ক্যাটাগরি সি-তে ১৭টি (ফেইসবুক ১১, গুগল ৬) ক্যাশ সার্ভার ছিলো। তবে এক নির্দেশনায় সেগুলো আইআইজি’র অধীনে নেয়া হয়। ওই সময় আইআইজি‘র কাছে ফেইসবুকের ২৮৩টি, গুগলের ১৪৯টি, আকামাই এর ২৪টি, ক্লাউডফেয়ার এর ২৯টি, বিগো লাইভ এর ২৫টি, জি-কোর ল্যাবস এর ১টি, আইএমও এর ১টি, মাইক্রোসফটের ১টি, জেনলেয়ার এর ১৯টি ক্যাশ সার্ভার ছিলো। এছাড়াও মোবাইল অপারেটরদের কাছে ফেইসবুকের ১৬২টি, গুগলের ৮০টি, আকামাই এর ১২টি, ক্লাউডফেয়ার এর ২টি ক্যাশ সার্ভার ছিলো।

জাতীয় ইস্যুতে বা ক্রান্তিকালে অনলাইনের কোনো কন্টেন্ট চট করে বন্ধ করতে বৈধ-অবৈধভাবে দেশে থাকা ২ হাজার ৪ জনের কাছে ক্যাশ সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ নিতে ২০২১ সালেল ৩১ ডিসেম্বর এগুলোর নিয়ন্ত্রণ কব্জায় নিয়েছিলেন বিটিআরসি’র তৎকালীন চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। এরপর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চলতি বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট শাটডাউনে ভূমিকা রেখেছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ, ভর্ৎসনা এবং জনমানসে ভিলেনে পরিণত হন তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী জুানইদ আহমেদ পলক।

প্রসঙ্গত, ক্যাশ সার্ভারের কারণে ব্যান্ডউইথের খরচ অনেকটা কমে যায় এবং পাশাপাশি ইন্টারনেটের গতিও বেড়ে যায়। এ ছাড়াও ক্যাশ ব্যবহার করে ইউজারের এক্টিভিটি ট্র্যাক করা সম্ভব। একইসঙ্গে ক্যাশ সার্ভার কাজ না করলে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ট্রাফিক আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পরে। ক্যাশ সার্ভার থেকে ডাটা ব্যাবহারে যেমন সুবিধা আছে, ঠিক তেমনি অসুবিধাও আছে। এই যেমন- ক্যাশ ব্যবহারের ফলে ওয়েবসাইটের লাইভ আপডেট পাওয়া যায় না। কিছু কিছু সময় ওয়েবসাইট ক্যাশ ডাটা থেকে ব্রাউজ হওয়ার কারণে আপডেট করা বিষয়গুলো ইনস্ট্যান্ট ওয়েবসাইটে দেখা যায় না। একইভাবে ক্যাশ ব্যবহারের ফলে হার্ড ড্রাইভের ফ্রি স্পেস পূর্ণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শেয়ার করুন
More News Of This Category
ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102