মিয়ানমার ইতিহাস লেখে শেষ করা যাবে না, ১৮২৪ থেকে ৮৫ এ্যংলো যুদ্ধের সুচনায়, বৃটিশ শাসনে বার্মা। অংসান সেনাবাহিনী থেকে অ্যান্টি ফ্যাশিস্ট পিপলস ফ্রিডম লীগের মাধ্যমে স্বাধীনতার নেতৃত্ব প্রদান করেন। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পুর্বমুহুর্তে আতাৎতায়ী গুলিতে সহযোগীদের সাথে নিহত হন। মিয়ানমার জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু ঘটে অংসানের মৃত্যুর সাথে। ১৯৬২ থেকে ২০০০, সামরিক শাসনের জন্য বিশ্বের আলো থেকে বঞ্চিত মিয়ানমা। অংসানের সন্তান, অংসান সুচির দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে, গনতন্ত্রের বিজয় হয়েছিলো। সুচির ব্যাক্তিত্বহীন নেতৃত্বের জন্য রোহিঙ্গা ইস্যিুর জন্ম হয়েছে। সামরিক জান্তার হীনমন্যতা, নিপিড়ন নির্যাতনের সমর্থনে আন্তর্জাতিক আদালতে ওকালত নামা দাখিল করেছিন, রোহিঙ্গা নির্যাতনের সাফাই গাইতে, শেষ রক্ষা হয় নাই। অন্ধকার কারাগারে যেতেই হয়ে। সামরিক শাসনের জাতাঁকলে কতো না সরকার, কতগুলো বাহিনীর অধিনে এখন মিয়ানমা ? সংখ্যা গননা করা কঠিন। ব্যাক্তিত্বহীন নেতৃত্বের জন্য মিয়ানমার জনগণ ১২০০ সাল থেকে গৃহযুদ্ধে জ্বলছে। কতোকাল জ্বলতে হবে মিয়ানমা ও প্যালেস্টানের জনগণকে ? উত্তর বিশ্বের কারো কাছে নেই।
বাঙালি জাতি, নয় মাসের স্বাধীনতার মুল্য অনুভব করতে পারছে না।বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতৃত্বের জন্য পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে আমরা পরাজিত করতে পেরেছিলাম। সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে, লাল-সবুজের পতাকা,বিশ্বের একটি মানচিত্র । বাঙালি জাতির হৃদয়ে মোহন বাঁশীর সুর আদি অন্তকাল জাগ্রত আছে।জাগিয়ে রেখেছে তারই সুযোগ্য সন্তান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুশাসনের জন্য, উন্নয়নের জন্য, শিক্ষা সংস্কৃতি সাহিত্য, বিজ্ঞানের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করার কলাকৌশলের বিচরণ ক্ষেত্র করা হচ্ছে। যোগাযোগ ও শিল্প বিপ্লব বলতে পারেন। সঠিক নেতৃত্বের উদাহরণ,এখন কার বাংলাদেশ। ব্যর্থ নেতৃত্বের উদাহরণ মিয়ানমা। বাংলাদেশের পাঁচ টা দেশের সমান, ক্ষনি সম্পদে ভরপুর, আদিকাল থেকে সম্পদশালী। জাতীয় ঐক্য নাই, শক্ত হাতের নেতৃত্ব নাই। একজন মজিব আবিস্কার করতে পারেনি। অংসান সুচির, ক্ষমতার লালসা মুক্ত হতে পারেনি। পারেনি শেখ হাসিনার মতো নিপিরিত নির্যাতিত বাঙালি জাতির রক্ষার্তে মানবিক হতে। রক্ত কথা বলে,মার্কিনদের মুখে উপর জাতীয় স্বার্থ নিয়ে কথা বলা, নিষেজ্ঞার পরোয়া না করার জন্য বঙ্গবন্ধুর রক্ত ছাড়া সম্ভব নয়। সামরিক বাহিনীর রক্ত প্রভাহিত সুচির শরিলে। সুচি পশ্চিমাদের নোবেল পুরস্কার নিয়েছে, সামরিক শাসনের সাথে আপোষ করেছেন ক্ষমতার জন্য। মাসুল দিচ্ছেন জনগণ।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।