মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ পুলিশের গুলির সামনে দুই হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ হন এই সাহসী তরুণ। আরেক শহীদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। ‘পানি লাগবে কারো, পানি, পানি?’ বলে তিনি ছাত্র-জনতাকে পানির বোতল দিচ্ছিলেন, তাকেও হত্যা করে পুলিশ। তাদের শহীদী মৃত্যু কাঁপিয়ে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারকে, তরান্বিত করেছিল ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান। এবার শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস পড়বে হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকে পরিমার্জিত পাঠ্য বইয়ে গল্প যুক্ত করার আভাস দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এনসিটিবির একটি সূত্রে জানা যায়, জুলাই বিপ্লবে তরুণদের বীরত্বগাঁথা ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মাধ্যমিকের বাংলা সাহিত্য বইয়ে এ দুই শহীদকে নিয়ে গল্প যুক্ত হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের পটভূমি এবং তাদের বীরত্বের বিষয়ে জানতে পারবে। বিষয়টি নিয়ে এনসিটিবির পরিমার্জনের কাজ প্রায় শেষের পথে। নভেম্বরের শুরুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
তবে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিপ্লবী সফল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রাজপথের লড়াকু সৈনিক কর্মীবান্ধব জননেতা জনাব হাজী সাখাওয়াত হোসেন নান্নু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার ফেসবুক আইডিতে করা পোস্টে পাঠকের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো:
হাজী সাখাওয়াত হোসেন নান্নু লিখেছেন, শহীদ আবু সাঈদ এবং মূগ্ধের বীরত্বগাঁথা পড়বে স্কুল শিক্ষার্থীরা। দারুন একটা উদ্যোগ! শহীদ আবু সাঈদ প্রথম শহীদ। চট্রগ্রামের ছাত্রদলের ওয়াসিম দ্বিতীয় শহীদ। সিরিয়াল অনুযায়ী আবু সাঈদের পরেই তো শহীদ ওয়াসিম এর নাম এবং তার বীরত্বগাঁথার ইতিহাস শিক্ষার্থীদের কাছে জানানো উচিৎ! তাহলে ওয়াসিম কেন বাদ গেলো? সে ছাত্রদল করতো একারণে? অথচ আপনারা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের কথা বলছেন!!