ভোক্তা অধিকারের বেলায় বাঙালি সেই প্রবাদ বাক্যটি সঠিক বলেই ভাবতে হবে কি-না, বুঝতে পারছি না। খাদ্য মন্ত্রী সয়ং ৬ টি কর্পোরেট গ্রুপে এসিআই, আকিজ, বসুন্ধরা, প্রান, সিটি, স্কয়ার নাম উল্লেখ করে সিন্ডিকেটবাজিকে দায়ী করেছেন, খাদ্যপন্যের বাজার অস্তিরতার জন্য। শাস্তির জন্য প্রয়োজনে চাল আমদানির অনুমতি দিবেন। এখানে কৃষকের অধিকার জরিত। ভোক্তা অধিকারের ক্ষমতা কি মোহাম্মদপুর কৃষি বাজার, কাওরান বাজার, নিউ মার্কেটের খুচরা দোকানের উপর ? যারা ভয়ে পালিয়ে যায়। ৬ অথবা ৬০০ সিন্ডিকেটবাজরা কি ভোক্তা অধিকারের দরা ছোঁয়ার বাহিরে ? মুক্ত বাজার অর্থনীতির অজু হাতে ৪৫ বছরের ইতিহাস মাংসের মুল্য নির্ধারণ হয় না। ইচ্ছে মতো দাম আদায় করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকারের পরামর্শ, দাম কতো জানতে চাই না, মুল্য তালিকা থাকতে হবে। কত দিয়ে কিনে আনছেন রিসিট দেখাতে হবে। মাংস ব্যবসায়ী বেচারা ৯০ হাজার টাকার গরু, ২ হাজার টাকা খাজনা, ১ হাজার টাকার গাড়ী ভাড়া, দোকান ও কর্মচারীর বেতন মিলিয়ে ৯৫ হাজার টাকার তালি বালি হিসেব দেওয়ার পরের প্রশ্ন, কতো কেজি মাংস হয়েছিলো। মাংস ব্যবসায়ী এখন আর বলতে পারছেন না। স্যার একটু দাড়ান, মাইপা দেখি। সকাল থেকে বেচা বিক্রির পরে যা দাড়ালো, প্রতি কেজি মাংস ১২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হয়। ৭০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকারের কাছে কোনো জবাব না থাকলেও জরিমানার একটি রিসিট দরিয়ে দিয়ে দায়ীত্ব পালন করেছেন। গ্রেমের কৃষক নিজের খেতে পুইশাক বিক্রি করতেও ক্রয় রিসিট চাওয়া হয়েছে। ভারত থেকে কতো টাকায় মাংস আমদানি হয়, কত টাকায় বিক্রি, তাঁদের কাছে রিসিট চাইবে কে ? মানুষে খাওয়ার উপযুক্ত কি-না তার জবাব একমাত্র র্যাব নিয়েছে, ভোক্তা অধিকারের জবাব নেওয়ার অধিকার আছে কি-না আমার জানা নাই। আমদানিকৃত সকল পণ্যের মুল্য তালিকা নির্ধারণ অতি সহজ। দেশীয় উৎপাদিত পণ্য প্রতিযোগীতা আসতেই হবে। আমদানি কারক ও মিলার কে জবাবদিহিতায় আনতে পারলে মিডিয়া সু এর প্রয়োজন হতো না ভোক্তা অধিকারের। প্রানি সম্পদ মন্ত্রী কোটি কোটি টাকার ভর্তকী ডেইরী ফার্মের গরু দিয়ে ২৮ দিনে ২৮ হাজার কেজি মাংস ৫৫০ টাকায় বিক্রি করে গলাবাজি করছেন মিডিয়াতে। সেখানে আমাদের প্রশ্ন থাকতেই পারে, সরকার ও জনগণের কি উপকার হয়েছে ? মাংসের বাজার কি নিয়ন্ত্রণ হয়েছে ? ভর্তকীর টাকায় দুই হাজার পরিবারকে পশুপালনে আওতায় আনাযেতো। ৪০ হাজার পরিবারকে এক কেজি করে মাংস বিনেপয়সাতে দেওয়া যেতো। সেখানোও মন্ত্রী মিডিয়াতে গলাবাজি করতে পারতেন। সরকারের সুনাম হতো। কে শুনে কার কথা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে আমরা কেউ বের হতে পারছি না। ফেসবুকে লাইফ হচ্ছে, টেলিভিশন ক্যামেরা আছে। যত পারেন দেখেন ও শুনেন। আপনে খাইলে খান, না খাইলেও ভোক্তা অধিকার আছে, জাইনা রাখেন।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।