প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ৫, ২০২৪, ২:০১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারী ১৫, ২০২৩, ১১:১৩ এ.এম
মহাত্না গান্ধী, স্টালিন, মাওসেতুন,বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, রাজনীতির জন্য অমরত্ব লাভ করেছে। বিশ্বাসের প্রতিক জাতীয় চার নেতা, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সহ অগুনিত মনিষীর সৎ রাজনীতি উপহার পেয়েছিলো বাঙালি জাতি । নিজের খেয়ে, দেশ ও জাতির জন্য জীবনের সবটুকু বিলিয়ে দিয়েছে।
সঞ্চয় বলতে পেয়েছেন, অমরত্ব। বাড়ী নেই, গাড়ী নেই। অমরত্বের খাতা পরিপুর্ণ। কোনো ষড়যন্ত্র,অপবাদ তাদেরকে স্পর্শ করতে পারেনি, পারবেওনা।রাজনীতিতে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। রাজনীতির জন্য স্মরনীয় হয়ে থাকবেন জিয়ার ভাঙা সুটকেস থেকে ডলার পাউন রিয়াল মেলার জন্য । বাংলাদেশের আইনে অবৈধ অর্থের প্রমান করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে।তারেক জোবাইদার স্থাবর অস্থাবর সম্পর্তি জব্দ করা হয়েছে।অর্থ মানব কল্যানে, রাজনীতির প্রয়োজনে, দেশ ও জাতি উন্নয়নে কাজে আসেনি। সেই অর্থ রাষ্ট্রের প্রয়োজনে জব্দ করার বিকল্প নাই । এই অবৈধ অর্থ দেশ ও জাতির ক্ষতিসাধন করেছে, তার বিচার বাকী থাকলো।
টাকা দিয়ে বাংলার স্বাধীনতা সংগাম,বাঙালি জাতির মুক্তি, মুক্ত মানচিত্র কেনা যায় নাই,রক্তের বিনিময় অর্জন করতে হয়েছে। টাকা দিয়ে রাজনীতি হয় না ,নীতি আদর্শ টাকায় চলে না। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সেই কথাই বার বার মনে করিয়ে দিতেন।রাজনীতি করলে দুর্নীতি ছাড়ুন, দুর্নীতি করলে রাজনীতি ছাড়ুন। কে কার কথা শুনে। শেখ হাসিনার হাতের ছুয়া পেতে, আপনাকের দুর্নীতি ছাড়তেই হবে,অমরত্বের জন্য। আপনি চাইলে ক্যাসিনো সম্রাট, মাদক সম্রাট, ব্যাংক ডাকাত, ইণ্ডাষ্ট্রিজের মালিক হতে পারবেন, রাজনীতির নামে বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। চাইলে ভাষানী, মজিব, জাতীয় চার নেতা হতে পারবেন না।
জহুরা তাজউদ্দিন, সাজেদা চৌধুরীর, সাহারা খাতুন হওয়া যায় না। তোফায়েল আহমেদ,মতিয়া চৌধুরী'রা শেখ হাসিনাকে বুঝতে শিখেছেন,দেশপ্রমের জন্য অমরত্বের আকাংখা থেকে বিদেশী শক্তি, ষড়যন্ত্র ভারতের রক্তচক্ষু, আমেরিকার হুংকার উপেক্ষা করে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে চলছে শেখ হাসিনার সরকার।
দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ, রাজনীতি কী বেইমানীর অংশ হতে চলেছে,শুধু টাকার জন্য ? এতো টাকা কোত্থেকে আসে ? মির্জা আব্বাসের, ক্যাসিনো সম্রাটদের আলমারিতে নগদ টাকার অভাব নেই। অভাব হয় না তারেকের ডলারের। নুর এখন ইসরায়েলের এজেন্ট, মান্না, রব'রা অংশ কিনা, কে জানে। ইসরায়েলের টাকা বাংলাদেশে আসে। জামাত ও ইসলামিক দলগুলোর দেশ ধ্বংসের রাজনৈতিক কর্মসুচি দেখে, কিছুটা হলেও আতঙ্কিত।
বিএনপির মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে চায়। স্বাধীনতা বিরোধী জামাত মুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে, নাটকের শেষ দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় জনগণ । টাকার রাজনীতিতে অস্থিরতা খুঁজে পাই , ঠুসঠাস করেই শেষ। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া রাজনীতির স্থায়ীত্ব হয় না বলেই ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে বিএনপিকে খুঁজে পাচ্ছি না। জনদাবী থাকলে জনগণ ঘুরে ধারাতো। জনগণকে ঘুরে দার করাতে পারলেই যেকোনো স্বৈরাচার, আমের আচার সরকার পালাতে বাদ্য। এ জন্য টাকার প্রয়োজন হয় না। আওয়ামীলীগ উভয় পথ দেখিয়েছে।এরশাদের স্বৈরাচার, বিএনপির আমের আচারের সরকারকে বস্তা বন্দী করে। জনগণ পাশে ছিলো এবং আছে বলেই আপনাদের অপরাজনীতি সম্পর্কে অভিহিত।দেশের বিদেশের কোনো ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার সরকারকে স্পর্শ করতে পারছেন না আল্লাপাকের রহমতে । টাকা দিয়ে ঠুসঠাসের রাজনীতি করা যায়। জনগণের জন্য, জনদাবীর রাজনীতিকে মিলানো যায় না। টাকা দিয়ে ষড়যন্ত্র কিনা যায়, রাজনীতির মহত্ত্ব অনুধাবন করানো যায় না।
ভোট কেনা যায় না। ভোটের বাক্স ছিনতাই করানো যায়।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।