প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ১২:২৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৬, ২০২১, ২:৫০ এ.এম
রাজনীতির করুন চিত্র কি মোহাম্মদপুর কে গিরে ? প্রিয়নেতারা এখন হাসপাতালে
জনাব রবিউল আলমঃ
অভিভাবকহীন মোহাম্মদপুরে আঃলীগের কাণ্ডারী শেখ বজলুর রহমান, আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান একি সঙ্গে শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার গন সাক্ষর সংগ্রহ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। ২১ আগস্ট গেনেট হামলার শিকার শেখ বজলুর রহমানের হাড়ে স্পেন্টার গুলো এখনো জীবন্ত। প্রতিনিয়ত যন্ত্রনা নিয়ে ঢাকা মহানগরকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।জীবন সঙ্গিনীহীন এই জীবন নেতা কর্মীদের জন্য উৎসর্গিত। আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি একমুহূর্তে জন্য সঙ্গ ত্যাগ করেন নাই। আলহাজ্ব মকবুল হোসেন নাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান মিয়াচান হাসপাতালে। দেখার বেকুলতা নিয়ে রোকশানাকে ফোন করেছিলাম, কোন হাসপালে জানা ছিলনা বলে।ইবনে সিনার দর্জায় হাজির হতেই রবিউল বলে সেই আগের সুরে ডাক, ভালো আছো ? প্রতি উত্তরে মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো, আপনাকে এই অবস্থায় রেখে আমরা ভালো থাকতে পারি। কিছুটা সময় নিরব। চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরছে, বুঝতে পারিনি। আর দারিয়ে থাকতে পারলামনা। বেশী সময় থাকাও ঠিক হবে না মনে করে সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে আসলাম। মনের মাঝে হাজারো প্রশ্ন। হাজারো স্মৃতির উদয় হলো। ঢাকা কোর্টে হাজিরা দিতে বজলু ভাই সহ ৮৩ জন আসামী হয়েছিলাম। আত্নগোপনে থেকেও মাসে একদিন মিলন মেলায় পরিনত হতাম। একদিনের আনন্দ উপভোগ্য থেকে আদালত আমাদেরকে বঞ্চিত করেছিল,মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়ে। সেদিনও কান্নায় ভেঙে পরেছিলাম। বজলু ভাই বুকে জরিয়েধরে হাসি ঠাট্টায় ভরিয়ে দিয়েছিল। আজ হাসপাতালে যখন চোখে পানি বেরুচ্ছিল, তখন কেউ শান্তনা দেওয়ার ছিলোনা। মাবুদ বজলু ভাই, সাদেক ভাইকে দীর্ঘ হায়াৎদান করো। আমাদেরকে দমক দেওয়ার, শাসন করার আর কেহ নাই মাবুদ।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।
Copyright © 2024 খাস খবর বাংলাদেশ. All rights reserved.