ডেস্ক রিপোর্ট খাস খবর বাংলাদেশঃ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। দীর্ঘ ১০ বছর পর সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি। আর এতেই দেশটিতে থাকা কঠিন হয়ে পড়লো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। কেননা দেশটির নতুন ক্ষমতাসীনরা দীর্ঘদিন ধরেই তারেক জিয়ার থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসছিল। এমনকি রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যে বসে রাজনীতি করতে পারে কিনা পার্লামেন্টে এই প্রশ্নও উত্থাপন করেছিলেন লেবার পার্টির একাধিক এমপি।
সূত্রমতে, সদ্য বিদায়ী কনজারভেটিভ পার্টির সহযোগিতার কারণেই রাজনৈতিক আশ্রয়ে তারেক রহমান থাকেন। এর আগে তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠলেও তা তদন্ত করেনি তৎকালীন সরকার। এছাড়া তারেক রহমান রহমান লন্ডনে একটি কোম্পানি খুলে অবৈধভাবে লেনদেন করার অভিযোগও তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতাদের অনাগ্রহের কারণে তদন্ত ধামাচাপা দেয়া হয়।
তারেক রহমানের এমন অবৈধ কাণ্ডে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির বহু সদস্য বক্তব্য রেখেছিলেন। দলটির অভিবাসন নীতিতে তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত, কোন দণ্ডিত ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের ভূখণ্ডে থাকতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, মানবিক বিবেচনায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থেকে রাজনীতি করা যাবে না। তৃতীয়ত, রাজনৈতিক আশ্রিতদের আয়-ব্যয়ের হিসেব নিয়মিত যাচাই-বাছাই করা হবে।
তথ্য মতে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে যান তারেক রহমান। মুচলেকায় আর কখনো রাজনীতি করবেন না উল্লেখ করেন। কিন্তু লন্ডনে গিয়ে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে লন্ডনে নাশকতা, চাঁদাবাজি, অর্থ-পাচারসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এবার লেবার পার্টি যেহেতু নিঙ্কুশ জয় পেয়েছে তাই তারেককে জবাবদিহিতার আওতায় আনবে নয়া সরকার।
এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে সদ্য বিদায়ী কনজারভেটিভ সরকারই অবৈধ অভিবাসীদের কিংবা ‘ফাস্ট-ট্র্যাক’ তথা আসামি আদান-প্রদানের ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল, যা কার্যকর হলে তারেকের লন্ডন থাকা সম্ভব হবে না। তাছাড়া আবারও লেবার পার্টির এমপি নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহেনার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। এবার তিনি মন্ত্রী হতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিষয়টি ব্রিটিশ সরকার আরো গুরুত্ব সহকারে নেবে। লেবার পার্টির বিজয়ে অনেক হিসেব-নিকেশ পরিবর্তন হবে। সবকিছু মিলিয়ে তারেক রহমানের রাজনৈতিক আশ্রয়ে যুক্তরাজ্যে থাকা আরো কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।