মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ সরব ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর থানার একজন মানবিক পুলিশ অফিসার মোঃ মোশারফ হোসেন। বিশেষ করে মোহাম্মদপুর থানায় হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করে সাড়া ফেলেছে তিনি।
আজ ২৭ নভেম্বর ২০২৪ রোজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, হিন্দু গোয়ালার দেয়া দুধ পান করে আমরা শৈশবে মক্তবে গিয়েছি। মসজিদের কলের পানি পান করে হিন্দু বন্ধুরা স্কুলে গিয়েছে। একসাথে চলতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে গেলে একই বটের নীচে বিশ্রাম নিয়েছি। যার যার ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে পাশাপাশি থেকেছি। কোনো সমস্যাতো হয়নি।
যে সাদা ভাত প্রতিদিন টেবিলে আসে- তার কোন ধর্ম কেউ যাচাই করেনা। কেউ খতিয়ে দেখেনা- এই ভাত এসেছে হিন্দুর না মুসলমানের জমি থেকে। রক্তের প্রয়োজন হলে মানুষ রক্তের গ্রুপ মিলায়। হিন্দুর রক্ত না মুসলিমের রক্ত তা কেউ মিলিয়ে দেখেনা।
যে চাঁদ আলো দেয়, যে সূর্য তাপ দেয়, যে পানি তৃষ্না মিটায়, যে বাতাস বাঁচিয়ে রাখে, যে মাটির উপর হাঁটি, যে বৃক্ষ অক্সিজেন দেয় -তাদের ধর্ম নিয়ে কেউ মাতামাতি করেনা। কারণ- এগুলো সবার। ঠিক তেমনি দেশটাও সবার। এটা যেমন মাওলানার, তেমনি ব্রাহ্মনের, এটা যেমন উপজাতির, তেমনি আদিবাসীর, এটা যেমন রাখালের, তেমনি গায়কের, এটা যেমন শিক্ষকের, তেমনি সাধকের। এখানে মাজারও থাকুক, মন্দিরও থাকুক, মসজিদও থাকুক, গীর্জাও থাকুক।
কিন্তু এই সুন্দর, সোহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ অনেকেই চায়না। শকুনের ঠোঁটে মাংস রাখার মতো সে প্রতীক্ষায় থাকে সুযোগ পেলেই শুকরের মাংস মসজিদে আর গরুর মাংস মন্দিরে ফেলে দেয়ার জন্য। নিজের সন্তানদের বিদেশে নিরাপদে স্কুলে পড়ায় । আর অন্যের সন্তানদের বিপ্লবী হতে উস্কানি যোগায়।
বিপদে পড়া যেকোনো মানুষ নিজ ধর্মের হোক, অন্য ধর্মের হোক তাকে আশ্রয় দেয়াই আপনার ঈমানের বড় পরীক্ষা। একটা প্রাণ বাঁচানোই জীবনের সবচেয়ে বড় জিহাদ। প্রতিটি প্রাণের সুরক্ষা খোদার দেয়া বড় আমানত। সেই আমানত কারো উস্কানিতে দোহাই লাগে খেয়ানত করবেন না। আল্লাহ ভরসা।