মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলার প্রতিবাদে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে কবি নজরুল কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ডিএমআরসির উদ্দেশে রওনা হন এই দুই কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী। পরে ডিএমআরসি কলেজে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা।
এর আগে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপ মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘মোল্লার চামড়া, তুলে নেব আমরা’ এমন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।
গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার ৩০টির বেশি কলেজের শিক্ষার্থীরা কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। গত বুধবার ভুল চিকিৎসায় ডিএমআরসির এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের মৃত্যুর অভিযোগে কলেজটির শিক্ষার্থীরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্রদলের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত ডিএমআরসি কলেজের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করে।
এর প্রতিবাদে গতকাল ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার ডিএমআরসি কলেজ, নটরডেম কলেজ, সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, নারায়ণগঞ্জ সরকারি কলেজ, খিলগাঁও সরকারি কলেজসহ ৩০টির বেশি কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে প্রায় ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল ডিএমআরসি কলেজের এক শিক্ষার্থী জানায়, আজ সকালে ডিএমআরসি ও আশপাশের কলেজগুলো ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে বিক্ষোভ করতে আসলে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা পুনরায় আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে আমরা তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি।