মোহাম্মদ ইরফান।
বিপুল পরিমাণ মোবাইলসহ ছিনতাইকৃত মোবাইল সিন্ডিকেট চক্রের মূলহোতাসহ ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. আল মামুন (২৮), মো. রাকিব (২৭), মো. জাহাঙ্গীর (৬৬), মো. ইকবাল (৫০), মো. মোখলেছুর রহমান (৩৮), মো. বিল্লাল মিয়া (৪০), মো. বিল্লাল (২৭), মো. রাকিব (২৩), মো. মাইনু (২১), মো. জনি (২০), মো. স্বপন (৫০), মো.সালাউদ্দিন আহম্মেদ (৩৫), মো. মোশারফ (৪৫), মেহেদী হাসান রাজু (২৪), মো. জুয়েল (৪০), মো. জুম্মুন (২৮), মো. রকিবুল ইসলাম (৩১), মো. নজরুল (৩০), মো. পারভেজ (৩৮), মো. ইউসুফ বেপারী (৪২), মো. ইউসুফ দেওয়ান (৩৫), মো. রুবেল মোল্লা (৩১), মো. রুবেল দেওয়ান (৩০), মো. জাফর (৪৮), মো. নাছির উদ্দিন পিন্টু (৩১), মো. আনছার ঢালী ওরফে ডালিম হোসেন (৫২), মো. হালিম সরদার (৫২), মো. শাহীন শেখ (৩১), মোহাম্মদ আলী (৫৫), মো. সবুজ (২৮) ও মো. আবুল হোসেন (৬১)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ট্যাব ৩০টি, টাচ মোবাইল ৭১৭টি, বাটন মোবাইল ৭৯৩টি, ল্যাপটপ (নতুন) ২৮টি এবং নগদ ৫৫ হাজার ৬৪৭ টাকা জব্দ করা হয়।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে র্যাব-৩ এর ৭টি আভিযানিক দল রাজধানীর লালবাগ, সিদ্ধিরগঞ্জ, পল্টন, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল, খিলগাও, হাতিরঝিল, ওয়ারিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাকারবারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, গুলিস্তান এলাকার চোরাকারবারী চক্রের মূলহোতা মো. রাকিবসহ তার ৪ জন সহযোগীকে, পল্টন এলাকার চোরাকারবারী চক্রের মূলহোতা মো. বিল্লাল হোসেনসহ তার ৬ জন সহযোগীকে, রমনা এলাকার চোরাকারবারী চক্রের মূলহোতা মো. পারভেজসহ তার ৬ জন সহযোগীকে, শাহবাগ এলাকার চোরাকারবারী চক্রের মূলহোতা মো. নাছির উদ্দিন ওরফে পিন্টুসহ তার ৬ জন সহযোগীকে, মতিঝিল এলাকার চোরাকারবারী চক্রের মূলহোতা মো. ইউসুফ বেপারীসহ তার ৪ জন সহযোগীসহ সর্বমোট ৩১ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়।
লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মূলত ছিনতাই/চোরাইকৃত মোবাইল ফোনসমূহ অল্প দামে ক্রয় করে মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে সুযোগ বুঝে বেশি দামে বিক্রি করে। তারা প্রত্যেকেই মুঠোফোন ছিনতাই-চোরাই চক্র এবং ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, র্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকায় অন্ততঃ ২০ টির ও বেশি মুঠোফোন ছিনতাইকারী চক্র রয়েছে। চুরি এবং ছিনতাই হওয়া মোবাইল সমূহের আইএমইআই নম্বরসমূহ পরিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন সিন্ডিকেট চক্রের যোগসাজশে বিভিন্ন মার্কেটের সামনে গোপনে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এই অভিযানে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্হা (এনএসআই) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে এই অপারেশনে র্যাবকে সহযোগিতা করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।