নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইসিটির প্রধান কৌঁসুলি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। গণহত্যায় উস্কানিদাতা হিসেবে জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান কৌঁসুলি।
আজ ১৭ অক্টোবর ২০২৪ রোজ বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।জাফর ইকবালসহ আরও ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আওয়ামী সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইসিটির প্রধান কৌঁসুলি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এর আগে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল তার মতামত প্রকাশের পর শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা তাকে ক্যাম্পাসে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘রাজাকার’ উক্তির প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এক বিক্ষোভ মিছিল করেন। ১৪ জুলাই রাতের ওই মিছিলে তারা স্লোগান দেন, ‘তুমি কে আমি কে – রাজাকার, রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে – স্বৈরাচার, স্বৈরাচার।’ এই স্লোগান ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী সরকারের ঘনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত শিক্ষক ও লেখক ড. মুহম্মদ জাফর। ফেসবুকে করা এক পোস্টে করেন আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ।
১৬ জুলাই ‘সাদাসিধে কথা’ নামে নিজের একটি ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিয়ে দুই প্যারায় ছোট্ট মতামত লিখেছেন তিনি। তার নিজ হাতে লেখা চিরকুটও সেখানে আপলোড করা হয়। হাতে লেখা চিরকুটের অংশটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমি মনে হয়, আর কোনো দিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইব না। ছাত্রছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে, এরাই হয়ত সেই ‘রাজাকার’। আর যে কয়দিন বেঁচে আছি, আমি কোনো রাজাকারের মুখ দেখতে চাই না। একটাই তো জীবন, সেই জীবনে আবার কেন নতুন করে রাজাকারদের দেখতে হবে?’