সাহিদুল এনাম পল্লব:
মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত মশিউর জোয়ারদার এর ছেলে জাহিদ( ৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রামের ৭-৮ জন সন্ত্রাসী দিনের বেলায় শ্রীরামপুর মাঠের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডে যে ধরে শ্রীরামপুর গ্রামে চলছে বাড়ি ভাঙচুর লুটপাট এর তাণ্ডব নৃত্য। ইতিমধ্যে এই গ্রামে ভাঙচুর করা হয়েছে বিল্লাল, আলফু, কবির ,টিক্কা, সালেক ,আরজু ,চঞ্চল সহ আরো অনেকের বেশ বাড়ি ঘর আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তছনছ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে লুট করা হয়েছে লিটনের তিনটা, মজিদের তিনটা সাহেবের তিনটা, মুক্তারের চারটা, টুলুর দুইটা ,সামের দুইটা সহ ১৭ টা চাষের গরু। এই গ্রামে এই লুটপাট চলছে পুলিশের উপস্থিতিতে দিবালোকে। এই গ্রামে বাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা গেছে জাহিদ নামের যে ব্যক্তি খুন হয়েছে তার দুই মেয়েকে। এই গ্রামে বাড়ি ভাঙচুরের যে তান্ডব নৃত্য তাহার সাধারণত নারীদের নেতৃত্বেই সংঘটিত হতে দেখা গেছে। আজ সোমবার জোহরের নামাজ বাদ আরজু নাম করে এক ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা যায় সেখানে পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে লক্ষ্য করা যায়। ভাঙচুরের ঘটনা পুলিশের উপস্থিতিতেই মিডিয়াকর্মীরা ছবি তুলতে অথবা ভিডিও ধারণ করতে গেলে নারীরা মিডিয়া কর্মীদের নিকট থেকে ভিডিও ধারণকৃত মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এই সময় তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে আপনারা যদি এইভাবে মানুষের বাড়ি ভাঙচুর করেন তাহলে কি আপনাদের পিতা ফিরে আসবে? প্রতি উত্তরে জাহিদের কন্যারা বলেন আমার পিতার হত্যার কোন বিচার আমরা কোনদিন পাব না তাই এখন যেটা করছি সেটাই ভালো। কিছুটা হলেও মনকে সান্তনা দিতে পারব তাদের কিছু শাস্তি হয়েছে। এই সময় এই সমস্ত নারীরা পুলিশ এবং মিডিয়াকর্মীদের উপর চড়াও হতে দেখা যায়। এই সময় একজনকে 80 বছরের এক বৃদ্ধ কে লাথি দিয়ে ফেলে দিতে দেখা যায়। যে বাড়িগুলো ভাঙচুর করছিল এই বাড়ির শিশু এবং নারীরা অসহায় হয়ে পড়ে। তাদের ভিতরে আবার কেউ কেউ গুজব তৈরি করছিল তাদের লোকজনকে হাট গোপালপুর বাজারে পিটানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে ব্যক্তি হত্যা হয়েছে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল এবং যারা তাদেরকে হত্যা করেছে তারাও বিএনপির রাজনীতি করে। তবে এটা কে একটি মহল বিএনপি'র লোক আওয়ামী লীগের কর্মীকে হত্যা করেছে বলে প্রচার চালাচ্ছে।
জাহিদের স্ত্রী এবং তার এক চাচার সাথে কথা বলে জানা যায় যে আর্য মাতব্বরের নেতৃত্বে এলাকায় এর আগে অনেক মানুষ তাদের সন্ত্রাসী হামলায় অঙ্গুত্ববরণ করে জীবন যাপন করছে। এবার তারা জাহিদ কে প্রকাশ্যে দিবালোকে মাঠে নিশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করলো। যা কোন সাধারণ মানুষ করতে পারে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে আরজুর নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছরে হামলার শিকার হয়েছে তারা হলো স্কুল বাবু, মিলন, মিঠুন, ইউসুফ , জনি, মহব্বত, দিলু মোস্তফা সহ ১০-১২ জন। সংবাদ লেখা পর্যন্ত গ্রামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক মোতায়ন থাকলেও আবার যে কোন মুহূর্তে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে পারে।