কতোকাল সরকারকে ভুল পথে চালানো হবে ? সরকার চায় খাদ্যে ভর্তুকি দিয়ে মানুষ বাচাতে,রপ্তানি বাড়াতে।প্রানি সম্পদ অধিদপ্তর মাংস ব্যবসার জন্য ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাইসেন্স ফি নির্ধারনের নোটিশ দেখে মনে হয় দেশ ধ্বংস না করে ছারবেন না। মাছ মাংস, কাঁচা সবজি নিত্যপণ্য খাদ্য তালিকায় হলেও মাংস রপ্তানীর সাথে যুক্ত। দেশের দ্বিতীয় রপ্তানী খাত চামড়া, পশুর বর্জ্য হাড় শিং নাড়ী ভুঁড়ি পেনিস গোল্লা, মাংস খাওয়ার পরে এমন কোনো অবশিষ্ট অংশ নেই, যা রপ্তানি হয় না। সরকার বানিজ্য মন্ত্রনায়ল ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়কে দায়ীত্ব দিয়েছেন মাংস শ্রমিকদের প্রশিক্ষনের যাতে রপ্তানীযোগ্য পশুর বর্জ্য নষ্ট না হয়।সিটি করপোরেশন পৌরসভা মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা মাংস স্বাস্থ্য সম্মতের দায়ীত্ব পালন করে। এ জন্য লাইসেন্স ফি নির্ধারিত। স্বাধীনতার ৫২ বছরের স্থানীয় সরকার তা পুরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশে আধুনিকতার ছুয়া পেলেও জবাই খানা বৃটিশ , পাকিস্তানের । সরকারের শত সফলতার একবিন্দু কালিমা বলতে পারেন। তার উপর প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাইসেন্স ফি মাংস ব্যবসার জন্য, বোধগম্য নয়। মাংস ব্যবসা উন্নয়ন সম্প্রসারন, পশুজবাই ও রপ্তানীতে অধিদপ্তরের কাজটা কী ? মাংসের কেজি সাত শত টাকা, আর কতো টাকা হলে সাধারণ ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতায় থাকবে ? বাজার এখন ভারতীয় মাংস অবৈধ আমদানির দখলে। চামড়া শিল্প ও পশুর বর্জ্য রপ্তানি ধ্বংসের পথে। গরুর হাটের ইজারাদার'রা নিয়ন্ত্রণহীন,আইনের তোয়াক্কা করেন না।

সরকারের দায়ীত্ব থাকাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কোনো আলোচনার প্রয়োজন অনুভব করছেন না। মাংস ব্যবসায়ীদের অফিস অবৈধ দখলে, শত আবেদন বিফল। দেশ, জাতি ও সরকারের প্রয়োজনে, রপ্তানীর স্বার্থে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি আলোচনায় প্রস্তুত।

যদি সরকারের দায়ীত্বশীলরা মনে করেন। না হয় এমনি করেই চলবে। সরকার ও ইজারাদার'রা আমাদের পকেট কেটে টাকা আদায় করবে। আমরা মানুষের পকেট উন্মুক্ত রাখতে পারবো না। লোকশান দিয়ে কেউ ব্যবসা করতে পারবে না। যত পারেন ট্যাক্স বারিয়দিন আলোচনার দর্জা বন্ধ রাখুন, রপ্তানি পণ্য ধ্বংস করুণ।ব্যবসায়ীরা পেশা পরিবর্তন করে নিবে। দুঃখ থাকবে জাতীয় সম্পদ, বৈদেশিক মুদ্রা রক্ষা করতে পারবোনা বলে । আমরা বাঙালি জাতি, এই দেশটা আমাদের। আমলাদের ব্যর্থতার জন্য নিজহাতে দেশের রপ্তানিখাত ধ্বংস করার দায় নিতে হচ্ছে বলে।

লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।