মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোজ শুক্রবার এইচ.বি.আর.আই. বেলতলা মাঠ কল্যানপুর মিরপুর, মিরপুর থানা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আগে বেলতলা কল্যানপুর মিরপুর মসজিদের ইমামের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন, রাজবাড়ী-২ আসনের আগামীর কর্ণধর জননন্দিত নেতা, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা উত্তর অঞ্চলের কৃষক লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ নুরে আলম সিদ্দিকী হক।
এ সময় কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগ, মিরপুর থানা ও ওয়ার্ড কৃষক লীগের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যান্ত প্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ স্থান মসজিদ। মসজিদ আল্লাহর ঘর। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে ‘মসজিদ মূলত আল্লাহর ঘর।’ (সুরা জিন : ১৮)। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম জায়গা মসজিদ। তাই মসজিদের সঙ্গে মুসলিম উম্মাহর হৃদয় ও আত্মার সম্পর্ক।
আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার এবং এতে দান-সাহায্য করা মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত আবেগ ও গৌরবের বিষয়। তাই তো পৃথিবীজুড়ে হাজারো লাখো দৃষ্টিনন্দন মসজিদ গড়ে উঠেছে মুসলিমদের স্বতঃস্ফূর্ত দানকৃত অর্থ-সম্পদে। আল্লাহ এর জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করল, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’ (মুসলিম : ১২১৮; শুয়াবুল ঈমান : ২৯৩৯)
মসজিদ নির্মাণ করাকে হাদিসে সদকায়ে জারিয়া, অর্থাৎ চলমান সদকা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। মসজিদ নির্মাণের জন্য দান করলে, যতদিন এই মসজিদে মানুষ ইবাদত বন্দিগী করবে ততদিন এর সওয়াব (কবরে বসেও) বান্দা পেতে থাকবেন। মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি মসজিদে ফ্যান দেওয়া, লাইট ব্যবস্থা করা কিংবা মসজিদের এসি ইত্যাদি ব্যবস্থা করে দিলেও এ সওয়াব পেতে থাকবে দানকারী।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘একজন মুমিন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার আমলনামায় যা থেকে নেকি যোগ হবে তা হলো, যদি সে শিক্ষা অর্জনের পর তা অপরকে শিক্ষা দেয় ও প্রচার করে, অথবা সৎ সন্তান রেখে যায়, অথবা ভালো বই রেখে যায়, অথবা মসজিদ নির্মাণ করে যায়, অথবা মুসাফিরের জন্য মেহমানখানা নির্মাণ করে যায, অথবা নদী খনন করে যায়।’ (ইবনে মাজা : ২৪২)
এতে বোঝে আসে, খাঁটি নিয়তে কেবল আল্লাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করে গেলে কবরে বসে বসে এসব আমলের সওয়াব পেতে থাকবে বান্দা।