বাঙালি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য, অর্জনের মুক্তিযুদ্ধ ও ৫২ ভাষা আন্দোলন। আমরা অনেক বিষয় ঘটা করে পালন করি, প্রভাদ ফেরী, শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য, আমার ভাইএ রক্তে রাঙ্গানোর গান, কবিতা সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভাষাকে সম্মান জানাতে কোনো কার্পণ্য থাকে না। ভাষার ইতিহাস আমতলা, থাকে অবহেলিত। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, মেডিকেল কলেজের আমতলা ছাড়া লেখা যাবে না। শুরুটা হয়েছিলো যেখান থেকে।মুক্তিযুদ্ধে,শহিদ বুদ্ধিজীবীদের ইতিহাস, রায়ের বাজার বদ্ধভুমির বটগাছ ছাড়া পরিপূর্ণ হবে না। যেই বটগাছের সাথে বেধে, নিঃসংশ ভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিলো।এখন অবৈধ দখলে।

বই মেলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষার কবজ, মিলন মেলা, জ্ঞানের তথ্য আদানপ্রদান বলতে পারেন। প্রতিদিন বই মেলাতে আসি, কবি, মহাকবি,সংস্কৃতি জগতের মহা মানবদের সাথে দেখা হচ্ছে। মেলায় উপচে পরা পাঠক লেখক, প্রকাশক, সংবাদ কর্মীদের অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হয়। আমি হাজার বছর লেখে এই বইএর জগত সম্পর্কে জাতির মাঝে অনুভুতি জাগাতে পারবো না। যারা পড়ার জগতে আসেন নাই।

আমি কোথায় ছিলাম ? নিজের কাছে নিজেই প্রশ্ন করি, বই মেলায় বসে উত্তর খোজার চেষ্টা করি। রাজনীতির প্লাটফর্ম অনেক বিষয় নিয়ে গঠিত, আপনি হুমকি দাতা হবেন ? নাকি জাতি গঠনের দায়ীত্ব পালন করবেন ? বই ছাড়া আপনাকে এই নির্দেশনা কেউ দিতে পারবে না।

পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বুঝতে পেরেছিলেন বলেই বাঙালি জাতির শ্রেষ্ট সন্তান লেখক, সাহিত্যিক, সংস্কৃতি ব্যাক্তিত্ব বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করেছে। বই মুক্ত চিন্তা থেকে ক্ষমতার কাছে বন্দি, আমলাতন্ত্রের বেড়াজালে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় লেখক কবি সাহিত্যিক সংস্কৃতি ব্যাক্তিদের সহায়তা করেন, জীবনের শেষ সময়, বিনে চিকিৎসার মরতে হয় না।

যারা তাদেরকে অসহায় করে রাখছেন, তাঁদের কে প্রতিরোধ করার জন্য কিছুই করা হয় না। প্রকাশরা, ঠিকমত পয়সা দেয় না, আমলারা সরকারের বই ক্রয় সঃস্থা নিজেরাই দখলে রাখেন,নিজেদের লেখা বই দিয়ে।

কাগজ ও ছাপা খরচ বেশী, নতুন বইএর সংখ্যা কম, পাঠকের সংখ্যা অস্বাভাবিক হাড়ে বেড়েই চলেছে। বই মেলা ইতিহাস গড়েছে। মেলার সফলতা বাংলা একাডেমির, সাথে দুষ্ট লোকের সংখ্যাও বেড়েছে। মেলাকে ধ্বংস করার জন্য। মরাগরুর মতো টানাটানি চলছে, ভাগবাটোয়ারার। সুশৃঙ্খল মেলার বিগ্ন ঘটতে পারে, বাংলা একাডেমি কাছ থেকে মেলার দায়ীত্ব ও স্থান, স্থানান্তরিত হলে।

লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।