May 19, 2024, 2:42 pm
শিরোনামঃ
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মৎস্যজীবী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা বিচার ব্যবস্তার সুচনার ইতিহাস জানিনা, বিতর্কের শেষ কোথায় ? বুঝতে পারছি না বঙ্গ কণ্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলার মাটি কে বুকে ধারন, ইতিহাসের অংশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পাঠাগারের কমিটি গঠন জহির সভাপতি ও লিটন সাধারণ সম্পাদক গাজায় নিজেদের গোলার আঘাতে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত তালের শাঁস খেলে যেসব উপকার হয় ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না: ওবায়দুল কাদের বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বাংলাদেশ সফর করছি: ডোনাল্ড লু ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমানের রাজনীতি হয়,মহাত্মা গান্ধী সকল ধর্মের রাজনীতি নাই গুলিস্তান-মিরপুরের কাপড় পাকিস্তানের বলে বিক্রি করেন তনি!

ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫২ বছর,ভেজনেবকে বাদ দিয়ে স্মরণ করা যায় না

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Tuesday, December 5, 2023
  • 66 Time View
স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের সহায়তা,আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা,এককোটি বিশ লক্ষ আশ্রয়হীন মানুষের আশ্রয় দাতা, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মানবতা বিরোধী অপরাধের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ, মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষন ও অস্ত্রের যোগানদান, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ, ১৫৮২ সৈনিকের আত্নদানের জন্য ভারতীয়দের বাঙালি জাতি ভুলতে পারবে না। বন্ধুত্ব আত্নার সাথে আত্নার মিল না হলে ৫২ বছর টিকে থাকতে পারে না। জাতির পিতার মুক্তি, বৃটেন হয়ে ভারতে মাটি স্পর্শ করার মুহূর্তে স্বাধীনচেতা মনের আকুতি, মজিবের বাংলা থেকে পরাধীন সৈনিক পত্যাহারের যেই বাসনা সৃষ্টি হয়েছিলো, ভারতের ততকালিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী পুরণ করেছিলেন,মজিব ইন্দিরার একান্ত বৈঠকে। ইন্দিরা বুঝতে পেরেছিলেন, বাঙালির স্বাধীন চেতা মনকে হুকুমে আবদ্ধ করা যাবে না।মুজিব ইন্দিরা চুক্তি সেই ইতিহাস বহন করে,যেকারণে ১৯৭৭ সালে আদালতের কাঠগড়ায় ধারাতে হয়েছিলো। যদিও বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে কিছু বিপদগামীরা ধুয়া তুলেছিলো গোলামী চুক্তি বলে।
ভারতকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দার করিয়েছিলো, আজ যারা ভারতের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পরাজয়ে আনন্দ উৎযাপন করেন। ভারত বিদ্রেশী মনোভাব গড়ে তুলতে পশ্চিমাদের তাঁবেদারি করেন।বাংলাদেশকে, পাকিস্তানি ভাবধারায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করতে চেয়েছিলো, কবিগুরু রাবিন্দ্র নাথ ঠাকুর লেখে ছিলেন বলে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ পরিবর্তন করে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো এই বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন। ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ছাড়া সীমান্ত রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না,জঙ্গিবাদ মৌলবাদের ছোবল থেকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের দল বিজেপি মৌলবাদের রাজনীতি গ্রহন করার পরেও ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়টা অনুধাবন করেছেন, দেশ ও জাতির স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়ে। বাংলাদেশের বিহৎ রপ্তানির বাজার, সেভেন সিস্টার্সরে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজী করন, সীমান্ত নিরাপত্তার ব্যয়বহুল খরচ বাচানোর জন্য ভারত,আমেরিকার সাথে বিতর্ক এরাতে পারেনি। মজিব ইন্দিরা চুক্তির তিস্তা প্রকল্প যথাযথ বাস্তবায়ন করতে না পারলেও নিরব সম্মতি প্রকাশ করেছেন। শেখ হাসিনার মনের ইচ্ছেকে বাস্তব রূপদানের জন্য ইতিমধ্যে চীনের সহায়তায় তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এগিয়ে চলেছে। রাশিয়ার ভেজনেব কে বাদ দিয়ে ভারতের বন্ধুত্বের ইতিহাস লেখা যাবে না।
ইতিহাস কখনো আটকানো যায় না, ভুলপথে চালানো যায় না। ভারত, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য স্বীকৃতি , রাশিয়ার নৌবহরের প্রতিরোধ, চীনের পদ্মাসেতুর অবদান রক্ষা করার জন্য আমেরিকার সাথে বাকযুদ্ধে পিছুপা হন নাই বাংলার বাঘিনী ক্ষেত বঙ্গবন্ধুর কণ্যা শেখ হাসিনা, যাকে বাঙালি জাতি শেখের বেটীর উপাধি দিয়েছেন।রক্ত কথা বলে। ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দিবশ ৫২ বছরের স্বীকৃতি আদায় করলেও সম্পর্কের আদিঅন্তে ৯৫ বছর। ১৯২৮ সাল থেকে বাংলার মেহনতী মানুষের কর্মস্থল হয়েছিল ভারতের আসাম রাজ্যে। ততকালীন জমিদারের বিচক্ষণতার জন্য।
অনাবাদি জমি মুসলিম পরিবারের মাঝে বিনেপয়সাতে বরাদ্দ দিয়েছিলেন,ফসলের জন্য।খাজনার জন্য আবাদকে উৎসাহিত করা হয়। আমার দাদা ওহেদ আলী ফকির ছিলেন সেই মিছিলের সাথী। হিন্দু পরিবারগুলো পশ্চিম বাংলাকে বেছে নেওয়াতে ততকালীন পুর্ব বাংলার একাধিক জমিদার থেকে ঝাড়ুদার দেশান্তরি হয়েছিলেন, মাটির মায়া ত্যাগ করতে পারেনি বলেই ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে জনগণের মাঝে উৎসাহ অফুরন্ত । বন্ধুত্ব আত্না ছাড়া হয় না, মানুষের বন্ধুত্ব দেশে রূপান্তর হয়েছে। বঙ্গবন্ধু চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের অবদান রেখেছেন। বাঙালির ভাষা দিবশ একুশে ফ্রেরুয়ারী বিশ্ব ভাষা দিবশ, বই মেলা, সাহিত্য সংগীতের মিলন মেলা, ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত হাটে লোকসমাগম অবিস্মরণীয়। সম্পর্ক বিনষ্ট কারীর সংখ্যাও কম নয়। খেলা নিয়ে জ্বালা উঠে, সীমান্ত নিয়ে উসকানি উঠে, ক্ষমতার জন্য পশ্চিমাদের কে পা চাটে, আগুনে খেলায় মেতে উঠে।মানুষকে, হিন্দু মুসলমানের তকমা দিয়ে বিবাদ সৃষ্টি করে। ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক বিনষ্ট করতে পারেনি,পারবে না শেখের বেটী থাকতে। নিজের সুখ পাগলেও বুঁজে। বাংলাদেশের মতো একটি ছোট্ট রাষ্ট্রের চাহিদা পুরণের ভারত আমাদের জন্য অপরিহার্য। চাউল আটা ময়দা থেকে পিয়াজ মরিচ,মটর পার্স, ভারত ছাড়া অপুরণীয় থাকবে।
সীমান্ত নিরাপত্তার, ব্যায়ের হিসেবটাও করতে হয়। শুধু বন্ধুত্ব নিয়ে হয় না,প্রতিদানের ও প্রয়োজনকে হিসেবে নিতে হবে, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যে।শেখ হাসিনা বিশ্বকে সেই বার্তা দিয়ে রেখেছে। আমেরিকা বন্ধুত্ব রক্ষা করে চলবেন ? নাকি বৈরী আচরণ জিইয়ে রাখবেন ? সিদ্ধান্ত তাদেরকে নিতে হবে। ভারত,বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ছাড়া উভয় দেশ চলতে পারবে না।
লেখক মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102