বিশ্ব, চতুর্থ মেয়াদের একটানা ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছেন শেখ হাসিনার জন্য। মানব কল্যানে, অর্থনীতি উন্নয়নে,রোহিঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পে সেবকের উজ্জ্বল নক্ষত্রের উপাধিতে আমেরিকা সহ বিশ্ব মিডিয়াতে এক এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে, শেখ হাসিনার ব্যাক্তিত্ব নেতৃত্ব, মানবিকতা, ভাষা শিক্ষা সংস্কৃতি সাহিত্যের জন্য গবেষণা হচ্ছে। সল্পউন্নত দেশের সাথী হারানোর জন্য, বেদনায় মর্মাহত দেশের সদস্যরা । স্বাধীনতার মুল্যবোধ রক্ষায় আজও পাকিস্তানের বন্ধুত্ব অগ্রহনযোগ্য মনে করেছে ।গনহত্যার স্বীকৃতি ও পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া ছাড়া মীমাংসা নয়।
বাঙালি ভাষার জন্য জীবনদান, মুক্তির জন্য সংগ্রাম, স্বাধীনতার জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছিল। মুক্ত একটি মানচিত্র ছাড়া কিছুই ছিলো না। প্রথম আলো তিরিশ লক্ষ শহিদের রক্তের সাথে দশ টাকার সাজানো নাটক করতে পারে না। সরকারের সাথে মতপ্রার্থক্য থাকতে পারে, মুক্তিযুদ্ধ দেশপ্রেমের নীতি আদর্শের সাথে দ্বিমত হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ভাষা আন্দোলনের সুচনা বাঙালির অহংকারের ইতিহাস বহন করে, প্রথম আলো।
শ্রদ্ধে মতিউর রহমান, আনিসুল হক বাঙালি সংস্কৃতির ধারক বাহক, এতোটা সস্তা স্বাধীনতা তাঁদের কাছে ? মাত্র দশ টাকার নাটক ? স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকে, সাড়ে তিন বছরে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ। শিয়াল শকুণের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকে গনতন্ত্রকে পুনঃ উদ্ধার, আজকের বাংলাদেশ।প্রথম আলোর অজ্ঞাত নয়।পদ্মাসেতুর প্রতিবন্ধকতা দলের ব্যর্থ সদস্য আপনি হতেই পারেন।
তাই বলে যোগে যোগে, সুযোগ পেলেই প্রতিশোধ নিতে হবে দেশের বিরুদ্ধে ? স্বাধীনতার ইতিহাসের বিরুদ্ধে ? দেশের অর্থনীতি শিল্পনীতি, কৃষি নীতির বিপ্লবে শেখ হাসিনার গ্রহনযোগ্যতা বিশ্বজুড়ে। রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্র কে, কেন্দ্র করে ভুমিহীন পরিবারের পুর্ণবাসন, মডেল মসজিদ, অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলি টেনেল, পদ্মা মেঘনা, মধুমতি, যমুনার রেলসেতু সহ বিস্ময়কর বাংলাদেশের উন্নয়নের, গোপন রহস্য জানতে চায় বিশ্ব। প্রথম আলো শেখ হাসিনার উন্নয়নের ফিরিস্তি দিতে পারে নাই, এতো লম্বা উন্নয়নের ফিরিস্তি দেওয়া প্রথম আলোর পক্ষে সম্ভব না। স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করে, বিশ্বকে কী বুঝাতে চেয়েছিলেন ? ডক্টর ইউনুস, হিলারী ক্লিটন সহ বিশ্বের অপদার্থদের বিকৃত রুচির রাজনৈতিক শিকার করতে চেয়েছিলেন, প্রথম আলো, তাঁদের সহযোগী হতে পারে। যদি তাই হয়, তবে সংবাদ পত্র জাতির ধারক বাহক, নিরপেক্ষ বলে আর কিছুই থাকে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলার জনগণ নীলকন্ঠি বলেই জানে, তিনি বিষ হজম করতে পারেন। দেশ ও জাতির স্বার্থে ক্ষমাসুন্দর হতে পারেন। একজন প্রতিবেদকের প্রতিহিংসার জন্য, নাকি ষড়যন্ত্র কারীদের সহায়তার জন্য স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করেছেন ? চাইল,ডাইল,গাইলের স্বাধীনতার উত্তর তাকে দিতে হবে।প্রথম আলোর সাথে প্রতিহিংসা হবে না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।