প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ২৮, ২০২৪, ৮:৫১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ৪, ২০২২, ৪:১৮ এ.এম
বিশ্বের নির্মম হত্যা কাণ্ড সংগঠিত হয় ঢাকা জেলখানায় ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে নাই
জাতীয় চারনেতার একনেতা মুক্তিযুদ্ধ সরকারের প্রধান তাজউদ্দীন আহমদের বাড়ীটি আমার বাড়ীর পাশে ধানমন্ডি। জীবনের অনেকে ইতিহাস জরিত। স্মৃতির পাতা থেকে এই নির্মম হত্যার কিছু দৃশ্যপট জাতির সাথে শেয়ার করার ইচ্ছে থেকেই আজকের লেখা। কিছু ক্ষোভের আগুন জ্বলে আমার মনে, কিছু প্রশ্ন জাগে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্ব পরিবারে হত্যা কাণ্ডের তিন মাস পরে জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হলো, ভারত আমাদের বন্ধু, জিয়াকে অনেকে হত্যা থেকে মুক্ত দেখতে চান। স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি মোস্তাক, স্বঘোষিত সেনাপ্রধান জিয়াকে বাঁধ রেখে ১৫ আগস্ট ৩ নভেম্বর হত্যা বিচার করতে পারছি না, নিজের মনে। ৩ নভেম্বর সকালে ১৯ নম্বর ধানমন্ডি তাজউদ্দীন আহমদের বাড়ীর সামনে অনেক লোকজনের ভিড়, কাছে থেকে দেখা এই মানুষটিকে একনজর দেখার ইচ্ছে থেকে আমি দারিয়ে আছি। পুলিশের গাড়ী দেখে, বাশী হুইসাল বাড়ী থেকে রাস্তার অপর পারে অনেকেই দারিয়েছে। সেনাবাহিনীর গাড়ী দেখে লোকজন শূন্য। চোরা বালির খেলা ও পেটের খুধা নিয়ে বাড়ী চলে আসি।
খাওয়ার পরে কিছুতেই বাড়ীতে অবস্থান করে পারছি না। মা কিছুতেই বাড়ী থেকে বের হতে দিচ্ছে না। রাস্তায় অঘোষিত কার্ফিও চলছে। অনেক কষ্টে, মনের ইচ্ছেতে সন্ধ্যার কিছু আগে তাজউদ্দীন আহমদের বাড়ীর সামনে হাজির হলাম, তখনো লাশ আসেনি। সরাদিন অনেকেই ছিলেন। পরেরদিন সকালে লাশ নিয়ে টানাটানি হচ্ছে। সেনা অফিসার লাশ নিয়ে যাবেন, উপস্থিত জনগণ জানাজা ছাড়া লাশ দিবেন না। অবশেষে আমরা ১২-১৩ জন মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা তাজউদ্দীন আহমদের জানাজায় অংশগ্রহণ করি। পরে জানতে পারি তাজউদ্দীন আহমদের ভাগিনা মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ জেলখানা থেকে তার লাশ এনে ছিলেন। তিনিও জানাজায় অংশ নিয়েছিলে।
১৫- ২১ আগস্ট, ৩ নভেম্বর কোনো কাকতালীয় ঘটনা বলতে পারছি না, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের নীলনকশার হাতিয়ার জিয়া-মোস্তাক গং পাকিস্তানি এজেন্ট। পরাজিত শক্তির প্রতিশোধ ছিলো। আজও চলছে ধর্মের নামে। বাঙালির ঐক্য ছাড়া এই অপশক্তির প্রতিরোধ সম্ভব নয়। আমাদের শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতি উন্নয়নের হাতিয়ার শেখ হাসিনার জীবন রক্ষার্তে আল্লাপাকের রহমতের পাশাপাশি জনমতের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। না-হয় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ঔপনিবেশবাদের শাসন আবারো আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।
Copyright © 2024 খাস খবর বাংলাদেশ. All rights reserved.