বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ৩০ লক্ষ সহিদ আর ২ লক্ষাধিক মা বোনের ইজ্জত সম্ভ্রম, ১ কোটি লোক নিজ দেশ, সম্পদ ঘর বাড়ি, খেত খামার ফসল, সংসার জীবন ছেড়ে ভারতে স্বরনার্থী হয়ে মানবেতর জীবন জাপন, সারা দেশে মুক্তি বাহিনীর সাথে হানাদার পাকবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ, আলবদর, আলসামস, নেজামে ইসলাম, রাজাকার, ইসলামি ছাত্রসংঘ, জামাত, মুসলিম লীগের পিসকমিটি ইসলাম রক্ষা, পাকিস্তান রক্ষার নামে অত্যাচার নির্যাতন, বাড়ি ঘর, বাজার, দোকান পাট, ব্যাবসা বানিজ্য লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, জ্বালাও পোরাও, খুন, হত্যা, ধর্ষন, গন কবর, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সুরমা সহ সকল নদী শুধু লাশ আর রক্তে রঞ্জিত করেছে, মানুষের সর্বস্ব করে নিয়ে, পুরো দেশ জাতিকে মেধা শুন্য করার জন্য স্বাধীনতার প্রাক্কালে সারা দেশে বুদ্ধি জীবি হত্যা নির্যাতনের পর মুক্তি বাহিনী ও মীত্র বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ, ভারত, রাশিয়া, ভুটানের স্বীকৃতি ও আন্তরজাতিক সমর্থনের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য হানাদার সৈন্য ভারত, বাংলাদেশ যৌথ মীত্র বাহিনীর নিকট আত্ম সমর্পণের মাধ্যমে চুরান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আজ বাংগালী স্বাধীন, স্বার্বভৌম, উন্নয়নশীল, স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতি, বিশ্বদরবারে মাথা তুলে দ্বাড়িয়ে আছে। এ অর্জন একদিনে এক বাঁশির হুইসেলে অর্জিত হয় নাই। স্বদেশী আন্দোলন, ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধ, ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন, ১৯৪৭ সনে দেশ ভাগের পর পূর্ব বাংলার সাথে বৈষম্য মূলক আচরন, বৃটিশের কলোনী থেকে পঃ পাকিস্তানের কলোনী বানানো। অতপর ১৯৪৮ সাল থেকে পূর্ব বঙ্গের নেতাদের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, ৫২র ভাষা সংস্কৃতির আন্দোলন ৫৪ নির্বাচন, ৬১র ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খানের সামরিক সরকারের মৌলিক গনতন্ত্র ৬৬ র বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলন, ৬৮ আগরতলা সরযন্ত্র, ৬৯ এর গন আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন ১১ দফা, ৭০ এর এলএফও র নির্বাচন, বহু বাংগালী জাতিয়তাবাদি নেতাদের উপর বর বর পাকিস্তনি জেল, জুলুম, নির্যাতন, হত্যা, নিবর্তন, ইয়াহিয়া খানের সামরিক আইনের জিঞ্জির ভাঙ্গার জন্য ৭ই মার্চের ১০ লক্ষ লোকের সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার বক্তৃতা, ২৫ মার্চ রাতে ২৬ মার্চের প্রাক্কালে স্বাধীনতা ঘোষণা, অপারেশন সার্চলাইট, রেললাইন, পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর ক্যাম্পে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরিহ ঘুমন্ত মানুষ হত্যা, বিভাগীয় শহরগুলোতে, সেনা ছাউনিতে বাংগালী সৈনিক হত্য, মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার, নেতাদের আত্মগোপন ও পরে ভারতে আশ্রয় নিয়ে জাতীয় নেতাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে ৯ মাস স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা, চতুর্দিকে অবরুদ্ধ, পরাজিত, ঘেরাও হয়ে অবশেষে ১৬ ডিসেম্বরের পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে চুরান্ত বিজয় অর্যন। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্টের মোস্তাক, রশিদ, জিয়া গং এর সরযন্ত্রকারি কুচক্রীদের হাতে স্ব পারিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা, ৩রা নভেম্বর জাতীয় ৪ নেতা হত্যা ৭ই নভেম্বর মুক্তি যোদ্ধা হত্যার মধ্যমে সৃষ্ট অপ রাজনীতি ২৬ বার পাতানো কুর নামে মুক্তি যোদ্ধা নিধন, ১৯ বার জন নেতৃ বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা সহ আওয়ামী লীগ নিধনের ব্যার্থ চেষ্টা, ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা। অনেক ত্যাগ আর সংগ্রাম, গণআন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে পুনরায় রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয় আপামর জনগন। একের পর এক স্বরযন্ত্র, বিডিআর হত্যা, ২০১৩-১৪ জ্বালাও পোরাও, জঙ্গী, মাদক, মাফিয়ার শত স্বরযন্ত্র মানুষ ভোলেনি। আজ যারা বাঙ্গালীর সকল অর্জন ম্লান করে দিয়ে আবার তালেবান রাষ্ট্র, জঙ্গী রাষ্ট্র, সন্ত্রসীদল, মাফিয়া সমাজ প্রতিষ্ঠায় মেতে উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, সংগ্রামের সময় ঘনিয়ে এসেছে। দেশ আজ যখন সমৃদ্ধ উন্নতির শিখরে তখন আবার নতুন স্বরযন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যাগো বাঙ্গালী যাগো আপন স্বাধীনতার মহিমায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে দেশ, জাতি, জনগন, জাতির জনকের কন্যার বিরুদ্ধে সকল সরযন্ত্র রুখতে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাগো, সকল দেশি বিদেশি সরযন্ত্র, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলো। কোনঠে বাহে যাগো।
লেখকঃ সাবেক ব্যাংকার ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক জনাব আব্দুর রহমান শাহ্।