আন্দোলন,লড়াই,সংগ্রাম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নাই বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে। ১০ ডিসেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে, আমানুল্লাহ আমান। ১০ ডিসেম্বর নিয়মিত সমাবেশে অংশ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রেম করে আন্দোলন হয় না, বিভাগীয় সমাবেশ থেকে কোনো হামলা হচ্ছে না, ঘরে সরকারের এজেন্ট রেখে সরকার উচ্ছেদের আন্দোলন হবে না মেজর ( অব) আক্তারুজ্জামান। অবশেষে কুমিল্লা সমাবেশ থেকে ঘোষণা করা হলো সরকার উচ্ছেদের একদফা আন্দোলনের।

তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী কার কাছে ? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীর আন্দোলন করেছিলাম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে, গন আন্দোলনের কাছে হুংকার স্তব্ধ হয়েছিলো,দেশের সাধারণ জনগণ জেগে উঠে ছিলো। বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে নেতারা আত্নগোপনে, তারেক রহমান এখনো লন্ডনে। ২০১৮ সালে সরকারের সাথে আপোষ করে ? না-কি নাবালক কিছু রাজনৈতিক দলের প্রভোঞ্চনায় বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নির্বাচনের অংশ করেছিলেন। মাত্র ৭ টা সিট নিয়ে জাতীয় সংসদের লোভ সংবরন করতে পারেন নাই। দেশের জনগণ আপনাদের বিশ্বাস করবে কেনো ? পাকিস্তানের সাথে আপোষ করে স্বাধীনতার সংগ্রাম, ক্ষমতার লোভ সংবরন করে বাঙালি মুখে গর্জে উঠে, জয় বাংলার শ্লোগান। খালেদ আর জিয়া শ্লোগানে বিএনপির জাগরণ হতে পারে, জনগণের জাগরণ হতে পারে না। দ্বিমুখী রাজনীতি,সরকারের এজেন্ট রেখে ব্যাক্তি স্বার্থে কোনো আন্দোলন হয় না।ক্যাল্টম্যান্টের বাড়ী চাই, পোলার দুর্নীতির মামলা থেকে অভ্যাহতি চাই,এই রাজনীতি দিয়ে গনজাগরণ হতে পারে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চোখ থাকতে যারা অন্ধ, তারা জনগণের সেবা করবেন কীভাবে ? পদ্মাসেতু মেট্রোরেল কর্ণফুলি টানেল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ বিএনপি কল্পনাও করতে পারে নাই।

আবার জ্বালাও পোড়াও করলে এই দেশের মানুষ বসে থাকবে না। জাতীয় সম্পদ ধ্বংসের আন্দোলন গনতান্ত্রিক হতে পারে না। বিএনপি যদি কোনো দুঃস্বপ্ন দেখে থাকেন,জেলেনস্কির মতো পশ্চিমাদের ফাঁদে পা দিয়ে থাকেন, বাংলাদেশকে ইউক্রেন বানানোর পরিকল্পনা একে থাকেন। তবে জনগণের রোশানল থেকে কেউ আপনাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ ও না।

লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।