প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ১৭, ২০২৪, ১১:৫৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ১৮, ২০২২, ৫:২২ পি.এম
বাঙালি ভাষার সাথে যায়, তবু কেনো পরাধীনতার শিকল এখনো কিছু বাঙালির পায়?
মন তুই বুজলি নারে"""" মন তুই জানলি নারে"""" মনের মানুষ এখন কোথায় আছে ? অনেক প্রশ্ন মনের মাঝে জাগ্রত, উত্তর কী কারো কাছে আছে ? বাঙালি ভাষার সাথে যায়, মনের সন্ধান পাওয়ার আশায়।৫২ বাহান্নর স্মৃতি বাঙালির মিলনমেলা আজ বিশ্বজুড়ে। বই মেলা হয় উপমহাদেশে, মনের স্বাধীনতার সীমাপরিসীমা না থাকলেও একটা পরাধীনতার শিকল এখনো কিছু বাঙালির পায়ে লাগানো আছে। আছে একটি কাঁটাতারে বেড়া, বন্দী হইয়া মনমনুয়ার নমুনা সংগ্রহে মোগল সাম্রাজ্য থেকে বৃটিশ,পাকিস্তান ও অবাঙালি আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় এখনো পরিত্যাগ করেন নাই। বাঙালির ও বাংলার মাঝখান একটি পরাধীনতার দেওয়াল আছে। রবিন্দ্রনাথ, নজরুলদের কে আটকাতে পারেনি। আটকাতে পারেনি গানের সুর, কবিতার ছন্দ, মনের আনন্দ। বিজেপি, কংগ্রেস থেকে সবাই একটি করে থাবা দিয়েছে বাঙালির মনের ভাষার ঐক্য বিনষ্টের জন্যে । ধর্ম কর্ম, জাতপাতের বিচার-বিশ্লেষণ কম হয় নাই। আমার বিচারে এখনো বাঙালির ভাষাকে আলাদা করা যায় নাই। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি জাতির পিতার আসনটি সংরক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যে। এতবড় ভারতবর্ষ থেকে দাবী উঠে নাই, বাঙালিকে স্বাধীনতার জন্য, উদ্ভুদ করে নাই। একটি জাতি একটি ভাষা, একটি মনের মিলনের জন্য কোনো প্রস্তুতি কারোই ছিলনা, এখনো নাই। তবে বাঙালিকে অন্য কোনো ভাষার নেতৃত্ব গ্রাস করতে পারেনি। বার বার বিজেপি-কংগ্রেসের পশ্চিম বঙ্গের পরাজয় অনেকটা প্রমান বহন করে। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে না হারালে কী হতো ? উত্তরটা ভারতীয় প্রশাসনের জানা আছে। আছে বলেই ১৫ আগস্ট ছিলো ভারতীয় স্বাধীনতা দিবশের নীরবতা। আমি অভাগ হই ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের বাঙালির অবদানকে যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্টা করতে ব্যার্থ হয়েছে ভারতীয় বাঙালিরা। নেতৃত্বকে প্রশ্নবৃদ্ধ করেছে, পশ্চিম বঙ্গ লড়াইটা জারি রাখলেও আসাম, ত্রিপুরার আত্মসমর্পণ ভারতীয় বাঙালিদের পরাধীনতার শিকল পরতে বাদ্য করা হয়েছে। বিশ্ব বাঙালির মিলন মেলার প্রতিবন্ধকতা হয়েছে। তবু বাংলাদেশ নামে একটা মানচিত্র বাংলা ভাষার ঠিকানা বহন করে। জাতিসংঘে বাংলা ভাষার প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশ নামে লাল সবুজের পতাকা। আমরা বুঝতে পারি ভারতীয় বাঙালির মনে অবস্থা। মন তুই বুজলি নারে"""মন তুই জানলি নারে""”স্বাধীনতার মর্মবানী। দুধের স্বাদ গোলে মিটাতেই কিছু ভারতীয় বাঙালি, মাঝে মাঝে আবোলতাবোল বলে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।
Copyright © 2024 খাস খবর বাংলাদেশ. All rights reserved.