প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ৭:৩৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২১, ৫:৩৮ পি.এম
বাঙালি জাতির অভি সাং বাদিত নেতা ভাষানীর মৃত্যু বার্ষিকির নিরবতা আমাকে যন্ত্রণা দেয়
জনাব রবিউল আলমঃ
হাটতে শিখালে, শিখালে প্রতিবাদের ভাষা। মুক্ত স্বাধীনতার জন্য করলে সহায়তা। তবু কেনো বাঙালি জাতির পিতার হত্যাকারীদের সাথে করলে সহায়তা ? তোমার রাজনৈতিক ইতিহাস আমরা লেখে শেষ করতে পারবো না। ছলনার রাজনীতির জনক বলা হয় তোমাকে। অবরোধ হরতালে, পুলিশি আক্রমণে তুমি নামাজ আদায় করেছো রাজপথে,জনগণের গণআন্দোলনে তুমি ছিলে হাসপাতালে।ফিরোজ খান নুনকে লুঙ্গির গল্প শুনিয়েছো,গল্প ছিলো জগত বিক্ষাত। ১৯৫৭ সালেই পাকিস্তানকে বলেছিলেন, আসসালামু আলাইকুম। তোমার আশা আকাংখা বাস্তবায়ন করেছিলো মজিব।তুমি কি তার সফলতা মেনে নিতে পারোনি ? চিনের বৈরী হাওয়া কাজে লাগিয়েছিলে ? মজিব হত্যার পেছনে ? এখন ভাবতে হয়, অমুলক নয়।কিছুটা প্রমান করে শত জনমের রাজনৈতিক অর্জন, দলের মার্কা ধানের শীষ জিয়ার কাছে বিক্রি করার কারনে।কেনো সন্তান তুল্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হত্যার পরে বিরূপ মন্তব্য করার কারনে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৬ মাত্র এক বছরের জীবনের জন্য এতো মায়া ? কতো দুঃসাহসিক রাজনৈতিক জীবন : বৃটিশ ও পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন করলেন আপনি।বঙ্গবন্ধু হত্যার পরের জীবনটা ছিলো আপনার জন্য ইতিহাসের পাতায় পাতায় স্থান করে নেওয়ার সময়। জাতির পিতার পরের স্থানটা ছিলো আপনার জন্য। আজ আপনি :না ঘরকা, না ঘাটকা। বিএনপি-আওয়ামীলীগ কেউ জিগায় না। আপনার দলের নেতাদের মৃত্যু ও জন্ম বার্ষিকি পালনের ক্ষমতা ও সামর্থ নেই, কারন ওরা ধানের শীষের সাথে নিজেরাও বিক্রি হয়ে গেছেন, আপনার দেখানো পথে। আসামের ধুবড়ীর ভাসান চরে কৃষক সমাবেশের মাধ্যমে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান হয়ে গেলেন ভাষানি। ভাষানি উপাধিতে ভুষিত হওয়ার পরে, বাঙালি আব্দুল হামিদ খান ভুলে গিয়েছেন। ভাষানি নামেই পরিচিত লাভ করেন। আমি তাকে খন্দকার মোস্তাকের সাথে তুলনা করতে পারবো না। ভাষানির অর্জন অনেক বিশাল। তবে তার ভুল ও লোভ, যা’ই বলি না কেনো, দায় তাকে নিতেই হবে। দায় তার উপরেই বর্তিয়েছে। তা না হলে বাংলার অভি সাং বাদিত নেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানির জন্মদিনটা এতো সাদামাটা হতে পারে না। বাঙালির প্রান জাতির জনক কে যারা একবার দেখেছে, তারা বঙ্গবন্ধুর পাগল, যাঁদেরকে একবার ছুঁয়েছিল, তারা বঙ্গবন্ধুর দেওয়ানা।আপনার বুকে তো জাতির পিতা মাথা রেখে ছিলো।কীভাবে আপনি এতোটা নিষ্ঠুর হয়েছিলেন ? আপনি যা করার ও বলার ছিলো, তা আপনার বলা হয়েছে।আমরা আপনাকে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবো।বিচার হবে পরকালে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।
Copyright © 2024 খাস খবর বাংলাদেশ. All rights reserved.