নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে এই আগুনে ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও কেউ হতাহত হননি। গভীর রাতে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন কাফি।
কাফি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘মধ্যরাতে আমার বাড়ির ঘর, রান্না-ঘর সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দিয়েছে। কোন দেশের জন্য, কাদের জন্য কথা বলছিলাম? যুদ্ধ করেছিলাম এবং করছি। নিরাপত্তা পাইনি।’
এদিকে তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের এই ঘটনা জানাজানি হলে বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা ও চর্চা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই কাফির পক্ষে কথা বলাসহ তার পাশে দাঁড়ানোর কথা বলছেন। এ অবস্থায় বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারকে ৭ দিনে আলটিমেটাম দিয়েছেন কাফি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আগুনে পোড়া নিজ বাড়ির সামনে সংবাদ সম্মেলনে কাফি বলেন, ‘আমার আলটিমেটাম সাত দিনের। বিচার না পেলে আমি সাত দিনের মাথায় রাজপথে দাঁড়াবো।’ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের জেরেই তার বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফি।
তিনি বলেন, ‘৩২ নম্বরের সামনে আমি বুলডোজারের সামনে স্লোগান দিয়েছি- ছি ছি হাসিনা, লজ্জায় বাঁচি না। সেদিন আওয়ামী লীগের দোসররা ঘোষণা দিয়েছিল যে, যারা ৩২ পুড়িয়ে দিয়েছে তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হবে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রথম আক্রোশের শিকার আমি। এটাই তা প্রমাণ করে।’ তিনি বলেন, ‘এটা এই সরকারের ব্যর্থতা। আমি চাই, এই সরকার আরও শক্তিশালী হোক। যদি এ সরকার ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা বলুক। তাহলে এ দেশের সাধারণ জনগণ বিপ্লবী সরকার গঠন করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি এ সরকারকে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিলাম। এই ৭ দিনের মধ্যে যদি সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুর্বৃত্তদের আটক করাসহ আমার বাড়ি পুনরায় তৈরি করতে না পারে, তাহলে আমি ঢাকা-কলাপাড়া রাজপথে বিপ্লবী সরকারের ডাক দেব।’
জুলাই আন্দোলনের পক্ষে ও বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলা কাফির বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রজপাড়া গ্রামে। তার বাবা রজপাড়া দ্বীন-এ-এলাহী দাখিল মাদ্রাসার সুপার। কাফি ২০১৯ সাল থেকে ভিডিও কনটেন্ট তৈরির কাজ শুরু করেন। তিনি মূলত বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় ভিডিও তৈরি করে থাকেন। ভিডিওগুলোতে হাস্যরসের মধ্যে দেশের সংকটময় পরিস্থিতিসহ নানা অসংগতি, দুর্নীতি, অনিয়মের প্রতিবাদ থাকে। জুলাই আন্দোলনেও ছাত্র-জনতার পক্ষে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল কাফির।