ঘরে অসুস্থ, কদিন হলো লিখতে পারছিনা। সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দৃশ্য দেখে মনকে বুঝাতে পারছিলাম না। পদ্মাসেতুর উদ্বোধনে সিলেট বাসীর আনন্দ পানি বন্দী হয়ে থাকবে ? এতো কষ্টের মাঝেও প্রানিকুল রক্ষায় এগিয়ে সিলোটি। স্যালুট ভাই তোমরারে।আমরার জীবনে পানি বন্দী হয়েছিলাম ১৯৬১ সালে আসামের নওগাঁ গ্রামে।গরু বাছুর ও সংসারে সবাই পানিগাও ফুপুর বাড়ীতে।আমাকে নিয়ে দাদা নিজ ঘরে মাচা করেই ছিলাম।পাশে বাড়ীতে বিকট শব্দ, বড় মাছ মনে করে গৃহকর্তা টেটা দিয়ে শিকার করে দেখেন নিজ সন্তান।বাবা সেখানেই মৃত্যু। ৬৩ সালে বিক্রমপুরে পানি বন্দী হয়ে একটু লবন ও কেরসিন তেলের জন্য দুই কিলোমিটার পানি ভেঙে নানি বাড়ী যেতে হয়।৭০ জ্বলোস্বাস্যে মামাদের সাথে ভোলা গিয়েছিলাম। ডেমড়ার ঘুণিঝড়, সাটুরিয়ায় অগ্নিঝড়।৮৮ বণ্যায় প্রথম সন্তানের পিতা হলাম। পশ্চিম ধানমন্ডির বাড়ী সম্পুর্ন পানির নিচে।সন্তানকে নিয়ে নৌকায় চড়ে শিশু হাসপাতালে। সন্তানকে বাচাতে পারিনি। ৯৮ বন্যা আমার দৃষ্টিতে আরো ভয়াবহ ছিলো, বণ্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থাকায় ঢাকা ছিলো অনেকটা নিরাপদ। পানি বন্দী জীবনে আমি ছিলাম একজন নিরলস কর্মী। সিলেটের পানি বন্দী দের কে দেখে হতাশায় নিমজ্জিত, বয়স ও অর্থ সঙ্কটের কারনে। চুপ করে যা দিয়েছি, প্রকাশ করতে লজ্জা হচ্ছে। আমার মতো লজ্জাহীনরা চুপি চুপি দিতে পারেন পরিচিত জনদের মোবাইলে। আমাদের গর্বিত সেনা নৌ বাহিনী, শিল্পী লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতি কর্মী ও যুবসম্প্রদায় এখন বণ্যা কবলিত অঞ্চল চষে বেড়াচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণ নিবির পর্যবেক্ষন করছেন। জীবনহানি বণ্যা পরবর্তী প্রর্যালোচনা নিয়ে পরিকল্পনা চলছে, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে,ডিজিটাল মজিব সৈনিকেরা এখন মানব সেবক। ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অজানার কথা নয় ভোলার লাশে গন্ধ পাকিস্তান সরকারের নাকে লাগেনি, ৯১ সুন্দর বনের জ্বলোশ্বাস্য খালেদা জিয়া সামাল দিতে পারেনি। পানি বন্দী জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে মনটা অস্তিত্ব হয়ে আছে।শেখ হাসিনাকে উপদেশ না দিয়ে বিএনপি ত্রাণ ভাণ্ডার, সর্ব দলিয় ভাণ্ডার এবং যার যা আছে তাই নিয়ে সিলেট আসুন। সামনে নির্বাচন। ঢাকায় বইসা অনেক টিআইবি ঠিআইবী দেখাইছেন।ভোটের পরিক্ষা হবে এখনি।বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজনীতি দিন শেষ। উপদেষ্টা আপনি কোন দলের বাকী রেখেছেন ? আওয়ামীলীগ বিরোধীদের আপনি নাচের মাস্টার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আপনি এ জন্য এতো প্রিয়।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।