March 29, 2024, 4:43 am
শিরোনামঃ
রাজধানী মোহাম্মদপুরে এতিম শিশুদের ইফতার করালেন আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত চাঁদর পুড়িয়ে পণ্য বর্জন হয় না,ভারতীয় পণ্যে অর্জিত রক্ত বর্জন করুণ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের শ্রদ্ধা পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে লিটন মাস্টার এর ঈদ উপহার বিতরণ পপুলার লাইফ পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বিএসইসি টাউন হল (কাঁচা বাজার) বণিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আঃ সাত্তার সওদাগর রোজাদারদের ইফতার করালেন সঠিক ইতিহাস রচনার বিকল্প নাই : জেবেল – মোস্তফা ভোক্তার অধিকার রক্ষা, ডাল চাল,আলু পেয়াজ মাংসে সীমাবদ্ধ নয় শেখ হাসিনার বিকল্প নাই বলে আওয়ামীগারদের এতো কষ্ট

পর্ব ৮৫: “যে ইতিহাসটি বলা দরকার” : এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Monday, June 27, 2022
  • 156 Time View
এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ
বাংলাদেশে আজকে কোনো কার্য্যকর বিরোধী দল নেই, সেটা সর্বজনবিদিত। বি এন পির ফকরুল ইসলাম সাহেবের মাঝে মাঝে দুয়েকটা বিবৃতিই সর্বোচ্চ । আর জাতীয় পার্টি, এতোদিন জি এম কাদের সাহেবের নেতৃত্ত্বে ছিলো জানতাম, এখন আবার এরিখ এরশাদের নেতৃত্ত্বে নতুন দল। যার ঘোষিত নেতৃত্ত্বে বেগম রওশন এরশাদ এবং বিদিশা এরশাদ। আর অন্য যে ডান ও বাম দলগুলো, তারা যে এখন কোথায় তা অনেকেই জানেননা। এমকি এই বৈশ্বিক করোনা কালে, বাংলাদেশের মহা দুর্যোগেও আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠন ছাড়া, অন্য কোনো সংগঠনের দৃশ্যমান কোন কর্ম কান্ড নেই, মাঝে মাঝে দুয়েকটা বিবৃতি ছাড়া। এতো গেলো বিরোধীদল বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কথা। কিন্তু আমাদের দলের বিভিন্ন স্থরের দায়ীত্বপুর্ণ নেতৃবৃন্দ, যে বিভিন্ন কথা বলছেন, যে গুলো নিয়ে ফেসবুক, ইউটিউব তথা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য, আওয়ামী ঘরানার মানুষের। এইতো, কিছু দিন পূর্বে নোয়াখালি এবং পরে ঢাকায়, অনেক মারাত্ত্বক মারাত্ত্বক কথা আমাদের শুনতে হয়েছে, যারা সকলেই আমাদের দলের লোক এবং দায়িত্বপুর্ণ পদে অবস্থান করছেন । আর সর্বশেষ হেলেন জাহাঙ্গির নিয়ে। যিনি নাকি আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য এবং তার বহিষ্কার, আবার তিনিই, আওয়ামী চাকুরিজীবী লীগ নামে একটি সংগঠন করে,তার সভাপতি হয়েছেন। এরপরই পুরো সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তোলপাড় এবং যে সব মন্তব্য বিভিন্ন জন করছেন, যার অনেক গুলো খুবই জঘন্য। এবং ঐ সব মন্তব্য করা অনেকেই আমাদের দলের লোক। তাদের ফেসবুকে বেগম খালেদা জিয়া, লেজেহোমো এরশাদ সহ অনেকের সাথে সিস্টার হেলেন জাহাঙ্গীর এর বিভিন্ন ছবি ছাপানো হয়েছে। আসলে যে সময়, আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তন চেষ্টা করে যাচ্ছেন, দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য। এই করোনা কে মোকাবিলায় কত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। অথচ আমাদের কেউ কেউ কিসব করছেন এবং বলছেন। এর বিপরীতে অনেক কঠিন কঠিন কথাও শুনছি। এতো কয়েকদিন পূর্বে, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ একটি সভায় বলেছেন, ১/১১ এর কুশীলবদের,বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে,বিচার করতে হবে। ১/১১ তো সেদিনের ঘটনা, যেটা আমরা অনেকেই জানি এবং স্মরণ আছে । আবার কেউ কেউ বলেছেন, ১/১১ এর অনেকেই এখন বিশেষ দায়ীত্ত্বপুর্ণ অবস্থানে আছেন। আবার অনেক মাননীয় সংসদ সদস্য, কয়েক দিন আগে, মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পরিমনি নিয়ে এবং আমলাদের নিয়ে তুলোধুনু করেছেন সংসদে। অথচ এখন বাংলাদেশে বিরোধী দলের কোনো ইস্যু নেই,কাজ নেই, কিন্তু আমাদের কত ইস্যু শুনতে হচ্ছে। আর ফেসবুক খুললে, আরো কতো কতো ইস্যু শোনা যায়। লকডাউন, বিদেশ থেকে ইউটিউবে বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের জঘন্য অপপ্রচার এবং সর্বশেষ ছাত্র ও যুব সমাজ কে ধ্বংস করার সুদূর প্রসারী ষঢ়যন্ত্র এর অংশ হিসেবে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং ইউটিউবে পর্নোগ্রাফীর অবাধপ্রবাহ, যা না থামালে, তার ক্ষতি কতো গভীর এবং ব্যাপক হবে সে বিষয়ও অনেকে কঠোর ভাবে বলছেন।অথচ অনেকেই বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াসলি বলছেন না, বলছেন না বিভিন্ন মিডিয়া গুলো, বুদ্ধিজীবীগন। হয়তো অনেকেই বলবেন, আজকে এতো প্রসঙ্গ নিয়ে এসেছি !। আসলে করোনায় কর্মবিহীন ভাবে আজকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনে আসে। ২৮ বছরের কৃষক লীগের অনেক বিষয় মনে পড়ে। এরই মইধ্যে হটাৎ করেই পটুয়াখালীর আমার বউফলের ঘটনা চলে আসে। বাউফল উপজিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এবং বর্তমান উপজিলা চেয়ারম্যান সাহেব, আ স ম ফিরোজ ভাই এর কাছের মানুষ এবং আমারও কাছের মানুষ, হটাৎ করেই তিনি বিভিন্ন প্রসঙ্গ এনে, ১৯৭৫ সনের ১৫ অগাস্ট জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর বরিশাল কেন্দ্রিক আনন্দ মিছিল প্রসঙ্গ আনেন। যদিও এর পূর্বে, খান আলতাফ হোসেন ভূলু ভাই, জাহাঙ্গির কবির নানক ভাই, বি এন পির ফজলুর রহমান পটল সহ অনেকেই বিভিন্ন সময়, বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক, পত্র পত্রিকা, টেলিভিশন, জনসভায় বক্তব্য রাখেন। যেগুলো নিয়ে অনেকেই, অনেকের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তোলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন পূর্বে আমার একজন প্রিয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা, বিভিন্ন মিডিয়ায় বক্তব্যে, এমন কি মহান জাতীয় সংসদেও বলছেন, ১৯৭৫ সনের ১৫ অগাস্ট এ জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হত্যার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিষয়, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে বিচারের আওয়তায় আনা হোক। যে বক্তব্যে অনেকেই সমর্থন দিয়েছিলেন। উপরের সকল কথগুলোই আমাদের দলের ভিতিরের নেতৃবৃন্দর বিষয় ইঙ্গিত করছেন বলেই মনে হয়। যদিও সে বিষয়টি আর আগায়নি। এর মাইধ্যে ১/১১ নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের দাবী কে, ৭৫ এর ১৫ অগাস্ট এ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিষয় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের দাবীকে আরো প্রবল করে তুলল কিনা। কেননা ইতিহাস বলে, ৫০ বছর পূর্বের রাজাকার আলবদরদের বিচার হচ্ছে, এমনকি ২য় মহাযুদ্ধের সময়ের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে !। সুতরাং কোন অপরাধই প্রতিকার বিহীন ভাবে যায় না। শুধু সময়ের অপেক্ষা। নিয়তি এমনই। (ক্রমশঃ) এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ২৬ জুলাই ‘২০২১
শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102