April 19, 2024, 2:53 pm
শিরোনামঃ
শুধু প্রশাসন দিয়ে মাদক ও কিশোর গাং প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হলে ? গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা ভন্ড কবিরাজ বলেন তিনমাথা,জ্বীন দিয়ে ও গোখরা সাপের কামড় দিয়ে শেষ করে দিব জানা গেল কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ বাংলা ও বাঙ্গালীর নববর্ষঃ আঃ রহমান শাহ ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানালেন কৃষক লীগ নেতা মোঃ হালিম খান পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড জাহাজেই ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করলেন জিম্মি নাবিকরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছে আলহাজ্ব লায়ন মোঃ দেলোয়ার হোসেন

পর্ব ৩৯ :- ”যে ইতিহাসটি বলা দরকার” : এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Tuesday, October 5, 2021
  • 345 Time View
এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ
” বিজয় পতাকা হাতে যারা এসেছিল, তাদের তো আজ দেখিনা, তারা আজ কোন জনপদে ” এটি কোন কবিতার অংশ বা কার লেখা তা এখন আর স্মরণ নেই। তবে একজন জাতীয় নেতার সাথে আমার কিছু সংলাপ এখনো মনে আছে জলজ্যান্ত। তিনি জনাব আব্দুর রজ্জাক। ৭৫ পরবর্তি সময়,বেগম জোহরা তাজউদ্দিন ও জনাব আব্দুর রাজ্জাকের কথা ঐ সময়, বিশেষ করে যারা,৭৫ থেকে ৮০ পর্যন্ত যারা আওয়ামী লীগ করেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করেছেন বা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন করেছেন তাদের সকলের সাথে জনাব আব্দুর রজ্জাক এর সাথে, কোনো না কোন ভাবে পরিচয় ছিল। তবে আমাকে ব্যক্তিগত চিনতেন, যেহেতু আমার আব্বা পটুয়াখালী মহকুমা আওয়ামী লীগের ও বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন এবং ১৯৭০ ও ১৯৭৩ এ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন এবং ৭৫ পরবর্তী সময় পটুয়াখালী কেন্দ্রীক জিয়া এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ব্যাক্তি ছিলেন। তার ছেলে হিসেবে এবং ৭৫ পরবর্তী সময়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এর দপ্তর সম্পাদক থাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে, স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান বিরোধী অন্দোলনে, কত দিন,কতো রাত কত কষ্টে কেটেছে, তা তিনি ভালো জানতেন। সেই সুবাদে তার ঝিকাতলার বাসায় এবং ৯১ নং নবাবপুর আওয়ামী লীগ অফিসে কতোদিন গিয়েছি তার হিসেব নেই। কিন্তু সেই আব্দুর রাজ্জাক ভাই যখন নতুন করে ১৯৮১ পরে “বাকশাল ” গঠন করলেন এবং আমাকেও ঐ সংগঠনে যোগ দেয়ার অনুরোধ, আমি তার অনুরোধ রাখিনি। তারপর আবার তার আওয়ামী লীগে ফিরে আসা। ১৯৯২ সন থেকে আমার কৃষক লীগ করা । রাজ্জাক ভাইর সাথে মাঝে মাঝে দেখা, পার্টি অফিসে, মিটিং এ বা অন্য কোথায়ও। একান্ত কথা হয়নি কখনো। হটাৎ করেই ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নমিনেশন বিষয় তার বাসার অফিসে গেলাম। তাও একজনার অনুরোধে। সে কৃষক লীগের একজন নেতা ছিলো এবং তার আব্বা রাজ্জাক ভাইয়ের এক সময়ের কাছের মানুষ ছিলেন । সেই কৃষক লীগের নেতার সাথেই আমার যাওয়া। রাজ্জাক ভাইয়ের সাথে কুশল বিনিময়ের পরে, বাউফলের মনোনয়ন প্রসঙ্গ তুললাম। যদিও তিনি প্রায় সবটুকুই জানতেন। তারপরও বললাম। বললাম তার সাধারন সম্পাদক থাকাকালীন ১৯৭৯ সনে আব্বার, ফিরোজ সাহেব বরাবরে নমিনেশন সেক্রিফাইস এর কথা, ১৯৯৬ সনে আমার বরাবরে ফিরোজ সাহেবের নমিনেশন সেক্রিফাইসের কথা এবং ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলেও, ফিরোজ সাহেব মাত্র ২৯ ভোটে রাজাপুর নামক সেন্টারের উপনির্বাচনে বিজয়ের কথা , ২০০১ এর সংসদ নির্বাচনে ফিরোজ সাহেবের বিপুল ভোটে পরাজয়ের কথা, সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ উঠে। তারপর ২০০৮ এর নির্বাচনে আমার মনোনয়ন প্রসঙ্গ তোল্লাম। আমার মনোনয়ন নিয়ে কিছু করা যায় কিনা। তখন তিনি সরাসরি বললেন তার কিছু করার নেই। এরপর অন্য প্রসঙ্গে যাই। এরপর আমি ৭৫ পরবর্তী রাজ্নীতী প্রসঙ্গে আলাপ শুরু করে, এক পর্যায় তাকে বললাম, রাজ্জাক ভাই, আপনার “গন আদালতে ” বিচার হওয়া উচিত। কেননা ৭৫ পরবর্তীতে, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিরোধে জীবনবাজী রেখে জোহরা তাজউদ্দিন এবং আপনার নেত্রীত্ত্বে আওয়ামী লীগ , ছাত্রলীগ সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন করে, কতো কষ্ট করলো, স্বৈরাচারী জিয়া সরকারের কত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করলো অথচ আপনার “নতুন বাকশাল” করার কারনে তারা অনেকেই রজিনিতি থেকে চির বিদায় নিতে হযেছে, অনেকেই কোন স্থান করে নিতে পারেনি। আবার কেউ কেউ কোন রকম দলে টিকে আছে। তাই ৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে আপনার “গন আদালতে” বিচার হওয়া উচিত। রাজ্জাক ভাই আমার কথার কোন জবাব না দিয়ে, শুধু কয়েক ফোটা চোখের পানি ফেলেন। শুধু বলেন, তোর নমিনেশনের দাবী যৌক্তিক। এরপর আমরা তার অফিস থেকে চলে আসি। আসলে কোনটা যৌক্তিক আর কোনটা অযৌক্তিক তা এখন আর ততটা বুঝতে পারিনা। আমার এক বন্ধু মিহির লাল সরকার প্রায়ই বিভিন্ন টপ্পা বলতো। ৭৫ এর আগে, একদিন পটুয়াখালীতে একটি হোটেলে বসে চা খাচ্ছিলাম। ও আমাকে বললো, রেজা, দেখছো ২ জন লোক মিষ্টি খাচ্ছে। আমি বললাম খাচ্ছে তাতে কি !। বললো একজন মোটা আরেকজন চিকন। আমি বললাম তাতে কি হলো । তখন মিহির বললো, ” একজন মিষ্টি খেলে চর্বি হয়, সে জন্য একজন মোটা, আরেকজন মিষ্টি খেলে কৃমি হয়, সে জন্য সে চিকন “। আসলে কোনটা যৌক্তিক আর কোনটা অযৌক্তিক এটা সৃষ্টিকর্তাই ভাল বুঝেন। কে অন্যায় করেও টিকে যাবে বা কে অন্যায় করে ধরা পর্বে তাও সৃষ্টিকর্তা নির্ধারণ করে রাখেন। এটাই বাস্তবতা ।(ক্রমশঃ) এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ।১ সেপ্টেম্বর ‘ ২০২০
শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102