তেল এখন আলোচনার শির্ষে। তেল ছাড়া রাজনীতি হয় না, তেল ছাড়া বিশ্ব চলেনা। সয়াবিন, পামঅয়েল তেলের কারিশমা শেষ হতে না হতে বিশ্ব জ্বালানী সঙ্কটে। গ্যাস ও তেলের জন্য ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা, এশিয়া লণ্ডভণ্ড। শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের নাভিশ্বাস। বাংলাদেশ ধুকে ধুকে মরছে,মড়ুক না, তাতে কার কি আসে যায়। শেখের বেটি দেশের পাগল না হলে কেনো যে এতো স্বপ্ন দেখায়। মাতার বাড়ী গভির সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ, মেট্রোরেল, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সহ উন্নয়নের ফিরিস্তি দেওয়া সম্বব নয়। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পরে বাংলাদেশ ছিলো আলোচনার দখলে। কতটা ভয়ে মির্জা ফকরুল ইসলাম নিজের অজান্তে বলে ফেলেন, পদ্মাসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর খালেদা জিয়াই করেছিলো। হাস্যকর বিষয় হলেও তার সাথে যুক্ত হলো নাট বল্টু। জাতির অনেক আশা আকাঙ্ক্ষার সেতুতে অতিপ্রয়োজনীয় বাহক মটর সাইকেল বন্ধ করে বিষাদের ছায়া ফেলা হলো। মধ্য বিত্তের বুকে পাথর চাপা ও বেকার যুবসমাজের কর্মে বাধা হিসেবে দার করানো হলো সরকারকে। ঈদের পরে স্পিড কন্ট্রোলের মাধ্যমে মটর সাইকেলের অনুমতি দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তেল মারার রাজনীতির জন্য সম্ভব হচ্ছে না। তেল নিয়ে আলোচনারও শেষ হবে না। তেল কতপ্রকার, সয়াবিন, পাম অয়েল, সরিষা, ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন সহ প্রকৃত সংখ্যা লেখা সম্ভব নয়। তবে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ এর তেল মাখার থেকে আমরা এখনো বের হতে পারলাম না। জাপানিজরা আলু খেয়ে আজ বিশ্বের ধনী রাষ্ট্র। আমরা ডলার পাচারে ব্যস্ত। চোরেরা কি এই দেশে থাকবেন এবং আসবেন না ? বিদেশে টাকা নিয়ে কি করবেন ? আমার বোধগম্যে নয়। আমার দেখা বাংলাদেশের ইতিহাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাইতে অপরাধীদের জন্য কঠোর নীতি প্রয়োগে আর কোনো রাষ্ট্র নেতাকে দেখি নাই। এমন কি জাতির জনকের মন নরম হতে দেখেছি। মওদুদ আহমদের মতো অপরাধীকে কবি জসিমউদদীনের অনুরোধে মুক্তি দিয়েছিলো। নকশাল, ডাকাত, লুটেরা দের কে ভালো হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলো। শেখ হাসিনার কাছ থেকে নিজ দলের এমপি, মন্ত্রী, মেয়র,কাউন্সিলর , নেতা, পাতি নেতারা মুক্তি পান নাই। তবু কোথায় যেনো একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। চোরের খনিকে স্বর্ণ দিয়ে ঘষে কি হবে। দলের চোরেরা বুজে না, বিমতের চোরদের টাকা বাংলাদেশে আসে না। জনসাধারণ জাপানীজদের মতো আলু খাইতে চায় না। শেখের বেটী তাদের জন্য মেগা প্রকল্পের স্বপ্ন দেখে।রাষ্ট্র টাকা ছাড়া চলে ? উন্নয়ন কীভাবে হবে ? তেলের দাম নিয়ে আলোচনায় সব উন্নয়ন ভেস্তে গেছে। বাঙালি নগদ চায়, দেশ ও জাতির জন্য কিছুই রাখতে চায় না। ক্ষনিকের বিপদের জন্য ঘর বিক্রি করে খাইতে চায়। জনগণের আশা পুরণের জন্য তেলের দাম কমিয়ে সমন্বয় করুন আর একবার।দেশ বাচাতে দলকে নিঃশেষ করবেন না। মটর সাইকেল পদ্মাসেতু পার হলে ক্ষতি কি ? শেখ হাসিনা সরকারের মহা উৎসবের পদ্মাসেতু আর লুকিয়ে রাখবেন না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।