মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৩ সালের শেষ অথবা ২০২৪ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ অবস্থান পাকাপোক্ত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পটুয়াখালী জেলার চারটি সংসদীয় আসনেও এর ব্যতিক্রম নয়।

পটুয়াখালী-২ আসনে ভোটারদের মুখে মুখে এখনও এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজার নাম শুনা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে জনগণের অধিকার রক্ষার্থে তার বিকল্প নেই। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ আসনে প্রার্থী হলে তিনি বিপুল ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করবেন। জানা গেছে, স্থানীয় ভোটারদের এমন আলোচনার মূলে রয়েছে ব্যক্তি এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-২ আসনে এরই মধ্যে বড় দুই দলসহ অন্যান্য দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীদের আনাগোনা বাড়ছে। প্রার্থীরা নীরব প্রচারণার অংশ হিসেবে এলাকায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করছেন। নির্বাচনী গণসংযোগের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে আসার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পটুয়াখালী-২ আসনে কেউ কেউ আলোচনায় থাকলেও আদর্শিক নেতৃত্ব হিসেবে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঘনিষ্ঠ সহচর যিনি জাতির পিতার সাথে পার্লামেন্টে বার বার এমপি নির্বাচিত হয়ে ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মরহুম জননেতা এডভোকেট খোন্দকার আব্দুল আজিজ এর সুযোগ্য কৃতি সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাএলীগের সাবেক মেধাবী ছাত্র নেতা, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক, এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা। স্কুল জীবন থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিজেকে একজন জনপ্রিয় কর্মী বান্ধব ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে  পটুয়াখালী-২ আসনের আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, এবারের নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ আসনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজার বিকল্প নেই। কারণ বিগত বছরগুলোতে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের খোঁজ খবর নিতে ছুটেছেন গ্রাম থেকে গ্রামে। সবমিলিয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব ও কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করেছেন তিনি। এমন দ্বিতীয় জন পটুয়াখালী-২ আসনে নেই বলেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মুখে শুনা যাচ্ছে।

এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা ১৯৯৪-১৯৯৬ পর্যন্ত বিএনপি পতনের লক্ষ্যে হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও কর্মসূচী, অসহযোগ আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং ২০০১ এর পরবর্তী সময়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন।

এদিকে প্রত্যাশিত প্রার্থীকে পাওয়ার আশায় এখনও চায়ের কাপে ঝড় তুলছে স্থানীয় ভোটাররা।

উল্লেখ্য এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজার ২০০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত দু’বার মনোনয়ন দিয়েছিলেন।