বাজারে নিত্যপণ্যের মুল্য তালিকা,বোর্ড লাগানো থাকে বোর্ডের হুকুম দাতা ও সঃস্থার নাম থাকে না। ব্যবসায়ী, ক্রেতা, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ২০১৭ সালের পরে মাংসের মুল্য নির্ধারণ থেকে বিরত আছে। কর্পোরেশনের বাজারের নিত্যপন্যের মুল্য তালিকার বোর্ডে দেখা যায় ৭২০/ ৭৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংসের দাম লেখা আছে। তেল চিনি, নুনের দাম কোথা থেকে নির্ধারণ হয় ? আমার জানা নাই। বানিজ্য, প্রানি স্থানীয় ও সিটি করপোরেশন মুল্য নির্ধারণ করতে পারে না।
মুক্ত বাজার অর্থনীতির সাংবিধানিক বাদ্রবাদকতার জন্য।ভোক্তা অধিকার,ভ্রাম্যমান আদালত আইনের কোন ব্যক্ষায় মুল্য নির্ধারন ও বাস্তবায়নের জন্য জবাবদিহিতা নাই। নিরাপদ খাদ্যের নামে বেজাল বিরোধী অভিযান, শিশু খাদ্য ও জীবন রক্ষার ঔষধে বেজাল কারীদের ফাঁসীর সাজা হলেও কম হবে। আইনের হাত অনেক লম্বা হওয়ার কথা। ভোক্তা অধিকার কাঁচা মরিচ আর ধনিয়াপাতার বেজালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। ভোক্তার অধিকার রক্ষার গুরুদায়ীত্ব আপনাদের পালন করতে হবে।
সরকার ও কোনো সঃস্থা দেশের জনগণের সেবায় বাজার নিয়ন্ত্রণ ও মুল্য নির্ধারণ, অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিরোধ করতে চাইলে, আপত্তি কোথায় ? জাতির জনকের পরিকল্পনা বাকশাল ফিরিয়ে আনতে হবে। মুক্ত বাজার অর্থনীতিকে ফিরিয়ে দিতে হবে। এক সাথে দ্বৈত নীতি চলতে পারে না। বাজারে নিত্যপণ্যের মুল্য তালিকা লাগাবেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতির অংশিদার হবেন। এই আজব রাষ্ট্র নীতির জবাবদিহিতা কোথায় করতে হবে ?
বাংলাদেশের মহামান্য আদালত স্ব-উদ্যোগে অনেক বিষয় আইনের আওতায় এনেছেন, রমজানের বাজার নীতি, মিডিয়ার অতিরিক্ত প্রচার নীতি, ক্যামেরার অপ ব্যবহার থেকে জনগণকে উদ্ধার করতে হবে। তার উপর সরকারের আমলাদের অতিরিক্ত প্রচারের আকাংখা থেকে নিত্যপণ্যের বাজারের মুল্য তালিকার শিকার জনগণকে রক্ষা করতে হবে। আজ পর্যন্ত তালিকার মুল্য ? নাকি মুল্যের তালিকা বাস্তবায়ন হয়েছে ? কেউ বলতে পারে না।
একমাত্র সরকারের টিসিবির, প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের ভর্তুকীর,কোম্পানির উৎপাদিত পন্যের বিক্রয় মুল্য তালিকা প্রদর্শনের ও বাস্তবায়নের অধিকার সংরক্ষিত। আমার পন্যের ক্রয় বিক্রয়ের মুল্য তালিকা প্রদর্শনের অধিকার একমাত্র আমার,কিশোরগঞ্জে ১০ লিটারের দুধ , গুলশানে ১০০ টাকা তরমু, ৪০০ কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা হয়, স্বইচ্ছায়। অসহায় মানুষের সহায়তায় জন্য ব্যবসায়ীদের ইচ্ছার প্রতিফলন। সরকারের দায়ীত্ব উৎপাদনকারী, আমদানী কারক ও ন্যায্য মুল্যের তদারকি করা। অতিরিক্ত তদারকীর জন্য বাজার অস্থির হলে, মাসুল জনগণকে দিতে হয়।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।