April 20, 2024, 1:17 pm
শিরোনামঃ
কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাকসবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনে ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নিজেরাই মহাবিপদে আছে: ওবায়দুল কাদের শুধু প্রশাসন দিয়ে মাদক ও কিশোর গাং প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হলে ? গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা ভন্ড কবিরাজ বলেন তিনমাথা,জ্বীন দিয়ে ও গোখরা সাপের কামড় দিয়ে শেষ করে দিব জানা গেল কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ বাংলা ও বাঙ্গালীর নববর্ষঃ আঃ রহমান শাহ ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানালেন কৃষক লীগ নেতা মোঃ হালিম খান পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কে হতে চলেছে ধামইরহাট ও পত্নীতলার অভিভাবক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Saturday, April 29, 2023
  • 61 Time View

মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ নওগাঁ জেলার ধামইরহাট ও পত্নীতলা উপজেলা নিয়ে নওগাঁ-২ আসনে বইছে নির্বাচনী আমেজ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে ঘিরে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানা ভাবে নিজের  প্রার্থীতা জানান দিচ্ছে। নানা দিবসে নিজেদের ছবিসহ পোষ্টা ও ব্যানারের মাধ্যমে স্থানীয়  ভোটারদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। প্রাচীন নিদর্শনে ভরপুর এই পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলাতেই রয়েছে দিবরদিঘি, জগদল বৌদ্ধ বিহারসহ নানা কিছু। এলাকায় এক সময় বিএনপি শক্ত অবস্থানে থাকলেও বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের মামলা ও নিজেদের মাঝে কোন্দলের ফলে দলটি একটু পিছিয়ে রয়েছে।  নওগাঁ-২ আসন এখন বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষে রয়েছে সাবেক এমপি বিএনপির কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শাসসুজ্জোহা খান ও অপর পক্ষে শক্ত অবস্থানে রয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমানে নওগাঁ জেলা আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী।

দলের বিভিন্ন কর্মসূচিও দুই নেতার নেতৃত্বে এলাকায় পৃথক ভাবে পালন করা হয়। দলের এই অবস্থা যদি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত চলে তাহলে  ভোটের ফলাফলেও এর প্রভাব পড়তে পারে। স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মীদের অভিযোগ,  বিএনপির অনেকেই এখন আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করে চলছে। এদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগও রয়েছে।

বিশেষ করে নব্বই এর রাজনৈতিক চিত্র পরিবর্তনের পর ১৯৯১ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব শহীদুজ্জামান সরকার। পরের দুটি নির্বাচনে  অর্থ্যাৎ ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের ভোটে এমপি নির্বাচিত হন বিএনপির কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জোহা খান। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটিতে পরাজিত হন বিএনপি। বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব শহীদুজ্জামান সরকার।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন আলহাজ্ব শহীদুজ্জামান সরকার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শামসুজ্জোহা কে আবার পরাজিত করে টানা তিনবারের মতো আসনটিতে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব শহীদুজ্জামান সরকার।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এমপি হওয়ার পর শামসুজ্জোহা খানের বিরুদ্ধে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে গোপন আঁতাত করে চলার অভিযোগ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা মামলার সময় এগিয়ে না আসার অভিযোগও করেন শামসুজ্জোহা খানের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরীর সাথে তার প্রথম মত বিরোধ তৈরী হয়। এই দুই নেতার নেতৃত্বে এ আসনের বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভক্ত। তবে বর্তমানে গ্রামের চায়ের স্টল থেকে শুরু করে শহরের আনাচে -কানাচে সকল জায়গায় সকল পেশার মানুষের মূখে মূখে শোনা যাচ্ছে খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরীর নাম।

ধামইরহাট -পত্নীতলার দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীরাও রয়েছে আলহাজ্ব খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী পক্ষে। শুধু তাই নয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় দ্বিতীয় সিলেক্টেট হিসাবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তারা মনে করেন আলহাজ্ব খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেলে আসনটিতে আওয়ামী লীগের যত বড়ই শক্তিশালী প্রার্থী থাকুক না কেন তবুও বিএনপি নিকট বিপুল ভোটে পরাজয় বরণ করবে।

আগামী নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য আওয়ামী লীগের যেসব নেতারা মাঠে রয়েছেন তারা হলেন বর্তমানের এমপি আলহাজ্ব শহীদুজ্জামান সরকার, কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ড. আখতারুল আলম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ রেজা মেহেদী, ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক বি.এম আব্দুর রশিদ, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আমিনুল হক।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী যাচাই বাছাই করণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে এলাকার সূধিসমাজ ও সাধারণ ভোটরগণ জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে আমরা দেখতে তিনজনকে সামনে রাখতে পারি। একজন হলেন আমাদের চারবারের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শহীদুজ্জামান সরকার। অপর দুইজন হলেন  ইঞ্জি: আখতারুল আলম ও ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক বি.এম আব্দুর রশিদ।

শহীদুজ্জামান সরকার টানা তিন বার সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হবার পর অত্র এলাকায় চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন মূলক কাজ করে গেছেন যা এর আগে কেউ করতে পারেনি। তবে কিছু নেতাকর্মীরা সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শহীদুজ্জামান সরকার এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে দলে অনুপ্রবেশকারণ, যারা আবার দলে এসে প্রকৃত নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার ও দূর্ণীতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যেমন: সুল্ক আদায়, বিভিন্ন ধরণের নিয়োগ বানিজ্য, টেন্ডার বানিজ্য, গত ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে বেলট উঠিয়ে উপজেলায় নিয়ে ভোটের ফলাফল ঘোষণাসহ বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম ও দূর্নীতি করে আসছে।

তবে সকল বাঁধা -বিপত্তি কাঁটিয়ে দূর্ণীতিবাজদের শক্ত হাতে দমন করে আবারো তিনিই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হবেন বলে আশা করছেন। তবে আবার কেউ কেউ বলছেন যদি এই আসনটতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন কোন মূখ আনতো তাহলে অনেকটা ভালো হতো।  কেননা এই আসনটিতে বিএনপি জামায়াত শক্ত অবস্থানে আছে।

১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  এই আসনটিতে জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী আলহাজ্ব হুমায়ন কবীর চৌধুরী নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  আসনটি হাতছাড়া হয়ে যায় জাতীয় পার্টির। আসনটি আবার তাদের নিয়ন্ত্রনে নিতে দুই উপজেলার  ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের কাজ শেষের পথে নিয়েছেন দলটি। ধামইরহাট ও পত্নীতলার দলটির হাল ধরেছেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন।

ধামইরহাট ও পত্নীতলা আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত শক্তিশালী ও জনপ্রিয় প্রাথী ছিলেন ধামইরহাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ময়েন উদ্দীন। চলতি বছরে ময়েন উদ্দিনের মৃত্যুর পর ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এর প্রচারণা করতে দেখা যাচ্ছে দলটির নেতাকর্মীদের।

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102