নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনে এ দেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়াও হবে না। এই ভোট ডাকাত ও মাফিয়া সরকারকে হটিয়ে নিরপেক্ষ সরকার কায়েম করা হবে। আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন গঠিত নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীন নির্বাচন করতে হবে।
আজ ২৮ মে ২০২২ রোজ শনিবার সদর উপজেলার ডাকবাংলা আব্দুর রউফ কলেজ মাঠে আয়োজিত ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলন চলাকালে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান লন্ডন থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. এস এম মশিয়ূর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাড. এম এ মজিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মসিউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কেন্দ্রীয় সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খাঁন শিমুল, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির জেলা যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মালেক, জেলা যুগ্ম আহবায়ক আক্তারুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য আব্দুল ওহাব, নির্বাহী সদস্য মীর রবিউল ইসলাম লাবলু, সদর উপজেলা সভাপতি এড মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, মহেশপুর, পৌর সভাপতি আমিরুল ইসলাম চন্নু, মহেশপুর উপজেলা সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, শৈলকূপা পৌর সভাপতি আবু তালেব, উপজেলা সভাপতি আবুল হোসেন, কোটচাঁদপুর পৌর সভাপতি সালাউদ্দিন বুলবুল সিডল, উপজেলা সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, হরিণাকুন্ডু পৌর সভাপতি জিন্নাতুল হক খাঁন ও উপজেলা সভাপতি আবুল হোসেন মাস্টার সহ প্রমুখ।
মির্জা খফরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দিবে, বিনা পয়সায় সার দিবে, আর দশ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবে। টাকা ছাড়া ঘরে ঘরে কেও চাকরি পায়নি। তাও আ.লীগ না করলে কারো চাকরি হয় না। দেশের মানুষ সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে এখন চাল কিনে খাচ্ছে। কোন কৃষক সারও বিনা পয়সায় পয়নি। এ সরকার প্রতারক ও ভাউতাবাজির সরকার।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, চরম দুঃশাসনে দেশবাসী যখন দিশেহারা তখন আলোকবর্তিকা হয়ে আমাদের মাঝে মুক্তির ঝান্ডা নিয়ে এসেছেন তারেক রহমান। তার নেতৃত্বে এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে সত্যিকার জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার কায়েম করা হবে। মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এ সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। এরা আধিপত্যবাদ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। ভোট ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
তিনি আগত নেতাকর্মী ও ডেটিগেটদের আশ্বস্ত করে বলেন, আওয়ামী লীগ আর পারবে না। এবার জনগণ জেগে উঠেছে। জনতার উত্তাল ক্ষোভ শক্তিতে পরিণত হয়েছে। দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে নেতাকর্মী ও দেশের মানুষ এখন উজ্জীবিত। তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের যে মুক্তির পতাকা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান উত্তোলন করেছিলেন, তা এখন তারেক রহমানের হাতে।
সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এবং আন্দোলনে প্রস্তুত থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান, তিনি আরও বলেন রক্তের বিনিময়ে যেমন স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে আমাদের এই ভোট এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি ভার্চুয়ালি থাকাবস্থায় পুলিশের গুলিতে নিহত মহেশপুর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী ইন্তাজুলের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন, নিহত যুবদলের কর্মী পলাশের পিতা আরাপপুরের ঝিনাইদহ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা ও শহরের কলাবাগান পাড়ার যুবদল নেতা মির্জার মা তারেক রহমানের দেওয়া আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন।