মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে লক্ষীপুর পৌর আওয়ামী লীগ ও ১৫টি ওয়ার্ড শাখার সভাপতি ও সম্পাদকের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে রাজধানী মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি, অধ্যক্ষ এম.এ.সাত্তার ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান ও শ্যামলী আইডিয়াল ইন্সটিটিউটের সভাপতি মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার৷
লক্ষীপুর সদরের একটি হোটেলে এম. এ. সাত্তার ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত ”জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায়” ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যক্ষ এম. এ. সাত্তার এ সহায়তা প্রদান করেন৷
লক্ষীপুর সদরের একটি হোটেলে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব সৈয়দ আহমেদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এ্যাড জহির উদ্দিন বাবরের সঞ্চালনায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ এম. এ. সাত্তার বলেন , বাঙালির জন্য ১৫ আগস্ট দিনটি শোকের। একই সঙ্গে হারানোরও। বিশ্ব মানবতার জন্যও দিনটি কলঙ্কের। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানোর দিন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বাংলা ও বাঙ্গালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ। বাঙালির নিরন্তর প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ নামক ভুখন্ডের স্থপতি।
তিনি আরো বলেন, শুধু বাংলাদেশ ভূখণ্ডে নয়, দুনিয়াজুড়ে বিবেকবান মানুষের কাছে ভয়ংকর বিষাদের এক দিন ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করে। ইতিহাসের ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তারা কলঙ্কিত করে বাঙালি জাতিকে। তবে খুনিদের অনেকের ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে জাতি কিছুটা হলেও কালিমামুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা ঘৃণিত খুনিরা আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
অনু্ষ্ঠানে লক্ষীপুর পৌর আওয়ামি লীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ ১৫ টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত ছিলেন৷
সবশেষে ১৫ আগস্ট নিহতদের আত্নার শান্তি কামনা করে এক দোয়া মাহফিলের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়৷