জাতিসংঘ কার ? স্থায়ী পাঁচ প্রতিনিধির ইচ্ছে পুরণের হাতিয়ার ? না-কি বিশ্বের নিয়মতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মুলমন্ত্রের আবিস্কার ? ব্যাক্তি জীবনের আইনের চাইতে নিম্নমানের আইন যদি হয় আন্তর্জাতিক আদালতের, বাস্তবায়নের কোনো প্রকৃয়া না থাকলে! জাতিসংঘের হুকুম যদি মোড়লরা না মানে ? সকল ভোটের পরে যদি ভেটো পাওয়ারে সব বন্ধ হয়ে থাকে। তবে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আইন আদালতের কি প্রয়োজন আছে ? বিশ্ব গনতন্ত্রের মোড়ল হতে চায়, গনতন্ত্র নাই জাতিসংঘে। ১৫ ভোটের ১৪ ভোট ইজরায়েল কে মানাতে পারেন না, আমেরিকার একটা ভেটোর জন্যে। ১৩ ভোট বিপক্ষে গেলে মিয়ানমা কি জাতিসংঘকে গনায় ধরেছে ? চীন-রাশিয়ার ভেটোর কারণে।
জাতিসংঘের কোনো ভোট রাশিয়াকে আটকাতে পারেনি ইউক্রেন আক্রমণে। লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাক, ফিলিস্তিনদের কে রক্ষা করতে পারছে না আমেরিকার একগুঁয়েমির জন্যে । জাতিসংঘ কে সাজানো হয়েছে নিষেধাজ্ঞার ব্যবসায়ী দৃষ্টিকোণ থেকে। অস্ত্র ব্যবসার মুলমন্ত নিষেধাজ্ঞা।আমেরিকার ইচ্ছে মতো ব্যবহার করে।
বিশ্ব আজও জানতে পারলো না, কী অপরাধ করলে, কোন গঠনতন্ত্রের অধিনে, একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাইতে পারে। মন চাইলে, ইসরায়েল বললে ইরান সহ মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা এমনি এমনি চলে আসে। সয়ং জাতিসংঘ বলছে মিয়ানমার সামরিক জান্তাকে বিশ্ব থেকে বিছিন্ন করতে হবে, অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে হবে। ভারত, চীন, রাশিয়া, সার্বিয়া অস্ত্রের ভাণ্ডার উন্মুত করে দিয়েছে।জাতিসংঘ বলেছেন বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত, দেশটির সামরিক বাহিনীকে আর্থিক ভাবে বিছিন্ন করতে হবে। কে কার কথাশুনে! ব্যবসা বানিজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বানিজ্য অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমার সাথে। ইসরায়েল সকল নিষেধাজ্ঞার উর্ধ্বে। জাতিসংঘ কি হুকুমের গোলাম ? না-কি অসহায়ত্বের প্রতিক ? আন্তর্জাতিক আইন কি বাংলাদেশের মতো ? গরিব মানুষ টাকার অভাবে ন্যায় বিচার পর্যন্ত যাইতে পারে না। গরিব রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক আদালতে আইনের শাসনের অধিনে আসতে পারে না।এই নীয়ম ভাংবে কেরে ? চীন, রাশিয়া, ভারত সমপরিমাণ ব্যবসা চায়, আমেরিকা চায় ঘাটি। এক মিয়ানমাকে নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কত রঙ্গের, জলতরঙ্গে চলছে।মাঝে মাঝে বাজায় বাশী,ঢোলের আওয়াজ তুলে একটি গোলা ছোড়ে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কত রঙ্গের সুর আবিস্কার করতে হচ্ছে, অসুরদের কে প্রতিরোধ ও দেশ জাতিকে রক্ষা করতে। তার উপর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধিতো আছেই। আছে বিএনপি জামাতের মতো বিদেশী এজেন্ট।
নিষেধাজ্ঞার ব্যবসা সংকুলান হয়ে আসছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সয়ং আমেরিকা লেজেগোবরে। মুসলিম জাহানের ঐক্য ও উত্থানে। চীন রাশিয়া ও পশ্চিমাদের একটি পরাজয় বিশ্বকে একটা পথ দেখাতে পারে।