নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে অন্তত ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিশপাড়া গ্রামে সংঘটিত এই গোলাগুলির ঘটনায় ১১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতরা চিকিৎসা নিচ্ছেন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই হামলার সাথে বিএনপির দুই গ্রুপের আধিপত্যের দ্বন্দ্ব জড়িত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে একদল মুখোশধারী যুবক মো. মহিউদ্দিনকে মারধর এবং কুপিয়ে আহত করার পর, প্রতিবাদ জানাতে আসা স্থানীয়দের দিকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে মুহূর্তেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ১২ থেকে ১৫ জন আহত হন। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। এ ঘটনার সময়, স্থানীয় ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ইলিয়াস জানান, তাঁর ভাই জসিম উদ্দিন সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেই গোলাগুলির শিকার হন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন।
রাউজান থানার পুলিশ জানায়, এই হামলার ঘটনায় দুই বিএনপি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতেই গোলাগুলি হয়। তাদের মতে, রাউজানে প্রায়ই রাজনৈতিক আধিপত্যের জন্য এই ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটছে, এবং বৃহস্পতিবারের হামলাও তারই অংশ।
এদিকে, রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুবুর রহমান জানান, বিএনপির এক পক্ষের ২০-২৫ জন সদস্য নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের ছেলে কামাল উদ্দিনকে আক্রমণ করতে গেলে, স্থানীয়রা বাধা দিলে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এর আগেও কামাল উদ্দিনের ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছিল।
এই গোলাগুলির পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে এক ধরনের ভয় ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তারা তৎপর রয়েছে।