আবু বকর সিদ্দিক বিপুলঃ ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের দূর্ণীতির সংস্কার হলেও এখনো সংস্কার হয়নি গাইবান্ধা বিআরটিএ অফিস। এ দপ্তরের প্রত্যেকটি কাজ দালাল ছাড়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না সেবা গ্রহীতাদের। সকল কাগজপত্র যাচাইয়ের পর ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর লাইসেন্স প্রদানের নিমিত্ত সুপারিশকারী বোর্ডের সভাতে সকল পরীক্ষার্থীকে উপস্থিত থাকতে হয়। উক্ত বোর্ড সভার দিন মোটরযান বিধি ১৯৮৪ এর ২৫(৫) ধারা মোতাবেক আবেদনকারীদের মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করেন। এ মৌখিক এবং পরীক্ষার মাধ্যমে আবেদনকারীরা ট্রাফিক রুলস রেজুলেশন এবং রোড সাইন মোটরযান চালনা এবং মোটরযানের বিভিন্ন পার্টস ও এক্সেসরিজ ও পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন দিক এবং বিধিমালা সম্পর্কে সম্যক অবগত কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর গাইবান্ধা বিআরটিএ অফিসে বায়োমেট্রিক, লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর বেশ কিছু পরীক্ষার্থী ভাল পরীক্ষা দিয়েও ফলাফল শীটে তাদের নাম না থাকায় বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক, কামাল আহমেদ কাজলের নিকট এর কারন জানতে চায়। এতে অন্যান্য ভূক্তভোগীসহ টাকা দিয়ে পাশ করা পরীক্ষার্থীরা কামাল আহমেদ কাজলকে ব্যবহারিক মাঠে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আসে এ সময় ভুক্তভোগীদের সেনাবাহিনী আশ্বস্ত করেন যে তাদের লিখিত খাতা পুনরায় যাচাই করা হবে।
এ বিষয়ে মোটরযান পরিদর্শক, কামাল আহমেদ কাজল জানান যে, আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় খাতা মূল্যায়ন করেছি। তবে ফলাফলের বিষয়ে কারো আপত্তি থাকলে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে খাতা পুনরায় যাচাই করা যাবে।