প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ৫, ২০২৪, ৮:৪৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৫, ২০২১, ৩:২৫ এ.এম
কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র,এনজিও,এতিমখানা, মাদ্রাসা থাকতে কিশোর অপরাধীরা নিয়ন্ত্রনহীন
জনাব রবিউল আলমঃ
আমাদের আগামী ভবিষ্যৎ, জাতির জন্য কি বার্তা বহন করছে। বিদ্ধাশ্রম,শিশু কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র, এনজিও সরকারের একাধিক শিশু কিশোর আশ্রয় কেন্দ্র থাকার পরেও কিশোর অপরাধীরা নিয়ন্ত্রণহীন। মাদ্রাসা ও এতিমখানা এখন অপরাধী সৃষ্টির কারখানায় পরিনত হচ্ছে। আমার বাড়ীর পুরনো ভাড়া টিয়া রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবীর পাশে মাটি ভাড়া নিয়ে বাড়ীওলা হয়েছে, বিগত দুইদিন বাড়ী যেতে পারছে না। কিশোর গ্যাংগের সদস্যরা দুইগ্রুপে একে অন্যের হাত ও পা কেটে দিয়েছে। বাড়ীর পাশে দারানো একজন নিরহ মানুষের বিশটি সেলাই করতে হয়েছে। মাদক সাম্রাজ্যের ওরাই না-কি বাদশা। পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে সহায়তার জন্য যাওয়াতে এখন বাড়ী যেতে পারছে না। পুলিশ বলেছে সবাই মিলে মেরে ফেলো, কাউন্সিলর সাহেবও না-কি একি কথা বলেছে। কাউন্সিলর দায়ীত্ব নেওয়ার পর থেকে পাঁচটি মার্ডার হয়েছে। একটি মার্ডারে নিরহ মানুষের নামে না-কি মামলা হয়েছে। জীবন নাশের ভয়ে নাম প্রকাশ করা হলো না। কাল্পনিক নাম কালা মিয়া বলেন নির্বাচনের রাজনৈতিক ওয়াদা ছিলো মাদক মুক্ত ও সামাজিক নিরাপত্তা। পুলিশ বলছে স্থানীয় প্রতিরোধ গড়ে না উঠলে পুলিশের পক্ষে স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে যারা ধরা পরেন, তারা অপ্রাপ্ত বয়স্ক। দেখলে বিশ্বাসই হবে না, এরা এত বড় ভয়ংকর সন্ত্রাসী। স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খানের উদ্যোগে, মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সহায়তায় জেনেভা ক্যাম্প সহ ঢাকা ১৩ আসন মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করা হয়েছিল। লাঠি হাতে বাশী মুখে সামাজিক ঐক্য গড়ে উঠেছিল। পুলিশ ছিলো অপ্রতিরোধ্য। পুলিশ ও সমাজিক ঐক্য একটি দেশের জন্য, একটি সরকারের জন্য সামাজিকতায় কতটা অবদান রাখতে পারে, মোহাম্মদপুর থানা এক অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। কিন্তু কাউন্সিলর নির্বাচনের পরে শুভংকরের ফাঁকি কীভাবে হলো ? জানিনা। কথা ছিলো নির্বাচনের পরে আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন হবে। ক্ষমতা প্রদর্শন ও ফুটপাতের চাঁদাবাজির দাবীদাররা জনবল নিয়ে কাড়াকাড়িতে মাদক প্রতিরোধ আন্দোলন স্থবির হয়ে পরেছে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ, উন্নয়নের বাংলাদেশ, মানব উন্নয়নের পরিকল্পনা, ১৯ ঘন্টার শ্রম কি মাদক ও কিশোর অপরাধীদের কাছে বন্দী হয়ে থাকবে ? না-কি উত্তরণের পথ আবিষ্কৃত করা হবে ? আওয়ামীলীগকেই চরম সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজনীতিকে ব্যবসায়ীদের, ব্যবসায়ী দৃষ্টিকোন থেকে মুক্ত করতে না পারলে সামাজিক ব্যাধি মুক্ত করা সম্ভব নয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি চেয়ারম্যান কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের জবাবদিহিতায় আনতে হবে। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে সহায়তা করতে হবে। মনে রাখবেন যে রাজনৈতিক দল সামাজিক আন্দোলনে জনগণের মন জয় করতে পারবেন, তারাই আগামীদিনে সরকার গঠনের দাবী দার। সামাজিকতা ছাড়া আপনাদের যোগ্যতা প্রমান করতে পারবেন না। জ্বালাও পোড়াও হুমকিধামকি দিয়ে জনগণকে ভয় দেখাতে পারবেন, জয় করতে পারবেন না। একটি বার করেই দেখুন না বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।
Copyright © 2024 খাস খবর বাংলাদেশ. All rights reserved.